সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: কুলতলি :: টানা ছয় দিন পর শেষ হল বাঘবন্দির খেলা। তর্জন,গর্জন, হামলার পর অবশেষে জালে দক্ষিণ রায় । টানা ৬ দিন কুলতলি এলাকায় ত্রাস ছড়ানোর পর মঙ্গলবার সকালে বনদপ্তরের ছোড়া ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু হল বাঘটি। ছাগল দিয়ে খাঁচা বসানোর কাজ ব্যর্থ বনদপ্তর ।
খাঁচায় ধরা পড়লনা কুলতলী ত্রাস” বাঘ”। গত ৬ দিন ধরে কুলতলি এলাকায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে দক্ষিণরায়। গর্জনে কেঁপে উঠেছে গোটা এলাকা।রয়্যাল বেঙ্গলের হামলায় জখম হয়েছে এলাকাবাসী।
তবু তাকে খাঁচাবন্দির চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে বনদপ্তর। সোমবার বিকেল থেকে ড্রোনের মাধ্যমে চলছিল নজরদারি। কিন্তু সাফল্য আসেনি। মঙ্গলবার সকালে বনকর্মীরা ফের হাজির হন এলাকায়। ছিলেন দমকল কর্মীরাও। তাঁরা হোসপাইপ দিয়ে জঙ্গলে জল দিতে শুরু করেন।
এমনভাবে জল দেওয়া হচ্ছিল যাতে বাঘটি বনদপ্তরের খাঁচার দিকে চলে আসে। সেই সময় বনকর্মীদের আরেকটি দল হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে জঙ্গলে ঢোকে। সেই লাঠি দিয়ে গাছপালায় ক্রমাগত আঘাত করায় বাঘটি ভয় পেয়ে যায়। গর্জন শুরু করে। দক্ষিণরায় শুরু করে দৌড়দৌড়ি ।
তার পরই দক্ষিণরায়কে লক্ষ্য করে পরপর তিনটি ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়ে বনকর্মীরা। তাতেই কাবু হয় বাঘ। পিয়ালি নদীর কাছে পাতা খাঁচায় এসে পড়ে। কিন্তু দরজা খোলা থাকায় ফের পিঠটান দেয়। তবে ঘুমপাড়ানি গুলির প্রভাব থাকায় বেশিদূর যেতে পারেনি। বাঘটি সম্পূর্ণ ঘুমিয়ে পড়লে তবেই তাকে জালবন্দি করে লঞ্চে তোলা হয়েছে।
তার পর বনদপ্তরের পশু চিকিৎসকেরা তার শারীরিক পরীক্ষা করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ঝড়খালিতে। ঝড়খালিতে বাঘ টিকে রেখে শারীরিক পরীক্ষা করা হবে এরপর বাঘটিকে আবারও সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে ফেরত পাঠানো হবে।