সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: দক্ষিণ ২৪ পরগনা :: নিম্নচাপের জেরে রবিবার বিকাল থেকে দফায় দফায় ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা। শুরু হয়েছে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাসও। সুন্দরবন উপকূলে বৃষ্টি ও ঝড়ের দাপট অনেকটাই বেশী । উৎসবের মরশুমেই ফের একবার বড়সড় দুর্যোগের মুখোমুখি হল উপকূলের এই জেলা।
দুদিন ধরে দফায় দফায় বৃষ্টির জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবার , কাকদ্বীপ ও ক্যানিং মহাকুমার বিভিন্ন নীচু এলাকাগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। রবিবার রাত থেকে বৃষ্টির পরিমান কয়েক গুন বেড়েছে। সুন্দরবন উপকূলে বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। রবিবার দুপুর থেকেই তৎপর প্রশাসন । সাগর , পাথরপ্রতিমা , নামখানা , বকখালী , কুলতলি , কাকদ্বীপে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে ও নদীতে বুধবার পর্যন্ত মাছ ধরতে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । মৎস বিভাগ ও পুলিশ এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় এবিষয়ে মাইকিং চলছে ।
প্রয়োজনে নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, কাকদ্বীপ পাথরপ্রতিমা, সাগরদ্বীপের উপকূল এলাকা সহ ঘোড়ামারা ও মৌসুনি দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। পূজার ছুটির শেষে সপ্তাহের প্রথম দিনে কার্যত শুনশান রাস্তাঘাট থেকে দোকানবাজার । টানা বৃষ্টি ও ঝড় এর দাপটের জেরে বিঘ্ন ঘটছে পরিবহন ব্যবস্থারও ।টানা বৃষ্টির জেরে ইতি মধ্যে বিপদ গ্রস্ত হয়ে পড়েছে দক্ষিন ২৪ পরগণার বেশ কিছু নদী বাঁধ।
প্রশাসনের তরফ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধ মেরামতির কাজ চালনো হচ্ছে । টানা বৃষ্টির জেরে ব্যাপক ক্ষতি হবে দক্ষিন ২৪ পরগণার জেলায় কয়েক শো বিঘা জমির চাষ আবাদ এমনটাই আশংখ্যা কৃষক মহলে । অর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে কয়েক হাজার কৃষক । ইতি মধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকা গুলিতে জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে । আর এতেই আতঙ্কিত হয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে সুন্দরবন উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজন ।