ট্যাংরা কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর বয়ান নাবালকের

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: শুক্রবার ২৮,ফেব্রুয়ারি :: রাজ্য শিশু কমিশনের দুই সদস্যের সামনে চাঞ্চল্যকর বয়ান। যোগা এবং জিম করার ফলে পায়েসে মেশানো ঘুমের ওষুধ খেয়ে কিছুই হয়নি আমার।মরার ভান করে শ্বাস আটকে মৃতের অভিনয় করেছি।

এরপর কাকা বালিশ চাপা দিয়ে আমাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করে।আমি বেশ কিছুক্ষণ স্বাস আটকে রেখেছিলাম,কাকা এবং বাবা ছাদে আত্মহত্যা করতে চলে যায়।

আমি দোতলায় উঠে দেখি মা কাকিমা এবং বোন মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।মা কাকিমা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।তাদের খুন করা হয়।

বাবা ঘটনার দুইদিন আগে বলেছিল , এবার পাওনাদাররা ধাওয়া করবে।মৃত্যু ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলেছিল বাবা কাকা।আমাকে সেদিন আলোচনার সময় ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়।আমি সেদিন ঘরে থাকলে অন্য কোনো রোজগারের উপায় নিয়ে পরামর্শ দিতে পারতাম।বাবা কাকার ব্যবসা একেবারে লাটে উঠেছিল।

শিশু সুরক্ষা কমিশন নাবালককে হোমে পাঠাতে চায়না। তারা কোনো একজন আত্মীয়ের কাছেই তাকে রাখতে চায়। প্রসূনের শশুর শাশুড়ির কাছে নাবালককে রাখতে চায় কমিশন।আজই এই দুজনের সঙ্গে কমিশন কথা বলবে।

সরকারি স্কিমে নাবালক সাবালক হওয়া পর্যন্ত মাসে মাসে প্রসূনের শশুর শাশুড়ি মাসোহারা পাবেন।তারাও নিতে রাজি না হলে একটি ফ্যমিলি পাওয়া গেছে, যারা এই নাবালকের ভরণ পোষণে রাজি।সব বিকল্প খোলা রেখে চেষ্টা চালাবে শিশু সুরক্ষা কমিশন। জানালেন কমিশনের চেয়ার পার্সন অনন্যা চক্রবর্তী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 4 =