ট্রেনে তখন তিল ধারণের জায়গা নেই। ভিড়ে ঠাসা ট্রেনের মধ্যে যাত্রীদের গায়ে গা ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে এক জীবন্ত ঘোড়া।

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: বারুইপুর :: ডায়মন্ডহারবার লোকাল ট্রেন ছুটে চলেছে গন্তব্যের দিকে। ট্রেনে তখন তিল ধারণের জায়গা নেই। ভিড়ে ঠাসা ট্রেনের মধ্যে যাত্রীদের গায়ে গা ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে এক জীবন্ত ঘোড়া। ঘোড়াও তার মালিককে সঙ্গে নিয়ে আর পাঁচটা যাত্রীর মতন নিজের গন্তব্যস্থলের দিকে এগিয়ে চলেছে।ছুটন্ত ভিড় ট্রেনে নিশ্চল দাঁড়িয়ে ঘোড়া।
ঘোড়া মানুষের একসাথে যাত্রার দৃশ্যের সাক্ষী হলেন শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ডায়মন্ড হারবার লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা। ঘোড়া ও মানুষের ট্রেন সফরের ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

লোকাল ট্রেনের এক যাত্রী জানান, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর এলাকায় ঘোড়দৌড়ের একটি প্রতিযোগিতা ছিল। সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এই ঘোড়াও ঘোড়ার মালিক।

প্রতিযোগিতা শেষে ঘোড়ার মালিক ঘোড়া নিয়ে চলে আসেন দক্ষিণ দুর্গাপুর স্টেশনে। ঘোড়া-সহ মালিক রাতের ডায়মন্ড হারবার লোকালে ট্রেনে চেপে বসেন। আস্ত ঘোড়া নিয়ে লোকাল ট্রেনে সফল করাতে অনেক নিত্যযাত্রীরা ঘোড়ার মালিককে আপত্তি জানায়।

তবে ঘোড়া এবং মালিক যাত্রীদের কথায় তেমন কর্ণপাত করেনি। ঘোড়াসহ আপনার মালিক বেশ কয়েকটি স্টেশন সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে সফর শেষে নিজের গন্তব্য স্থল নেতড়া স্টেশনে নেমে যান।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে গ্রীষ্মের শুরুতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় ফসল কাটার পরে ফাঁকা চাষের জমিতে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বছরের পর বছর ধরেই এমনটা হয়ে আসছে। বুধবার বারুইপুরে তেমনই একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল ।

বিজ্ঞাপন 

যাত্রীদের অনেকেই এ বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) বা স্টেশন কর্তৃপক্ষের কোথাও কোনও নজরদারি নেই বলেও অভিযোগ উঠেছে।

রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে, রাতে ডায়মন্ড হারবার লোকাল ট্রেনে ঘোড়ার সফর এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *