ট্রেনে বাসে হেঁকে বিক্রির দিন শেষ – বারুইপুরের পেয়ারা চলল সিঙ্গাপুর

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বারুইপুর :: শনিবার ২০,সেপ্টেম্বর :: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের পেয়ারা, খেলেই হবে চেহারা’। এমনটাই হেঁকে হেঁকে ট্রেনে-বাসে পেয়ারা বিক্রি করেন হকাররা।

পেয়ারার বাণিজ্যিক বা অর্থকরী গুরুত্ব অপরিসীম। মর্যাদার কদর করতে বারুইপুরের পেয়ারাকে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা জিআই-এর স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।

এবার পশ্চিমবঙ্গের কৃষিক্ষেত্রে নজর কাড়ল বারুইপুরের পেয়ারা। এই প্রথম ভৌগোলিক সূচক (জিআই) ট্যাগপ্রাপ্ত বারুইপুরের পেয়ারা বিদেশে রফতানি হয়ে পৌঁছল সিঙ্গাপুরে। কৃষিপণ্যের এই সাফল্যকে বিশেষজ্ঞরা বাংলার কৃষি অর্থনীতির নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন বলে মনে করছেন।সূত্রের খবর, প্রায় ৫০০ কেজি উৎকৃষ্ট মানের বারুইপুরের পেয়ারা সিঙ্গাপুরের একটি শীর্ষস্থানীয় খুচরো বিক্রেতার কাছে পাঠানো হয়েছে।

এই সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে স্থানীয় কৃষকদের সংগঠন অটোবটস ফার্মার প্রোডিউসার কোম্পানি (এফপিসি) এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রফতানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আপেডা)-র যৌথ উদ্যোগ।

অটোবটস এফপিসি-র চেয়ারম্যান আই নস্কর জানিয়েছেন, ‘কয়েক মাস ধরে স্থানীয় কৃষকদের আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে চাষাবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পেয়ারার গুণগত মান, আকার ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আমি নিজেও তদারকি করেছি।’

অন্যদিকে, আপেডা-র আঞ্চলিক প্রধান এস কে মণ্ডল রফতানি প্রক্রিয়ায় সরকারি অনুমোদন, মান নিয়ন্ত্রণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।রফতানির আগে সমস্ত পেয়ারা উৎকৃষ্ট মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গেছে।

আন্তর্জাতিক বাজারের নিয়ম মেনে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্ভিদ কোয়ারেন্টাইন সার্টিফিকেশন (পিকিউসি) পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে এই ফল। এই পদক্ষেপকে ভবিষ্যতের রোজগারের দিশা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine + eleven =