নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: মঙ্গলবার ৩,সেপ্টেম্বর :: সন্দীপ ঘোষের গ্রেপ্তার নিয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা জানান, সন্দীপ ঘোষের গ্রেপ্তারটা আমাদের অত্যন্ত প্রত্যাশিত ছিলো এবং আমাদের একটা আন্দোলনের দাবি ছিলো।
বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ কাউন্সিলের সাথে ছাত্রদের ও চিকিৎসকদের মিটিং হলো বর্ধমান মেডিকেল কলেজের সভাকক্ষে সোমবার রাতে। এদিন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্র ও চিকিৎসকদের অভিযোগের ভিত্তিতে কলেজ কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে
আরজি কর কান্ডের সাথে যুক্ত বর্ধমান শহরের নারায়ন দিঘী এলাকার বাসিন্দা ডক্টর অভীক দে, এবং ডক্টর বিশাল সরকার ও ডক্টর অভিশিতা এই তিনজনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রবেশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য।
ডঃ অভিক দে,বিশাল সরকার, ডক্টর অভিশিতা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দূর্নীতির সাথে যুক্ত ছিলেন ।তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, ভয় ভীতি, থ্রেট কালচার ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বেশ কিছু চিকিৎসক সহ ছাত্ররা। এদিনের কাউন্সিলের মিটিংয়ে ওই তিন ডাক্তারকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রবেশ অবৈধ করা হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য।
এছাড়া একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে যা একুশ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করে তাদের বিরুদ্ধে যথা উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।এদিনের এই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়, হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ,সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চিকিৎসক ও ছাত্র ছাত্রীদের অভিযোগ মেনে নিয়েই হাসপাতালের পিন্সিপাল সুপার,এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।এদিন মিটিং শেষে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের বাইরে এসে ছাত্র-ছাত্রী সহ চিকিৎসকেরা ডাক্তার অভিক দে ও বিশাল সরকারের নামে স্লোগান তোলেন।