কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: মালদার আমের জগৎখ্যাত নাম রয়েছে। সেই কারনে মালদার চাষ হওয়া আমের জেলায় চাহিদা মিটিয়ে ভিন্ন রজ্যে ও দেশে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বড়ো অংশের মুনাফা অর্জন করে মালদার আম চাষী থেকে রপ্তানি কারকেরা।
তবে এই বছর যে ভাবে হুহু করে ডিজেলের মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে আমের পণ্য পরিবহন যথেষ্ট বেশি না হলে বিদেশের বাজারে আম নিয়ে গিয়ে মুনাফা লাভ হবে না। ফলে চাষী থেকে রপ্তানী কারক চাইছ অন্তত ২০শতাংশ আমের মূল্য বৃদ্দি করা হোক না হলে বাইরে আম যাবে না।
উদ্যান পালন দপ্তর সুত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় বিগত বছরে ৩১হাজার ৩৫০হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছিল। এবছর ৪৫০হেক্টর জমিত আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তবে আবহাওয়া বিরুপের কারনে এবছর আমের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। তার ওপর ডিজেলের মুল্য বৃদ্ধি বিদেশের বাজারে আমের দাম বাড়বে। আমের দাম না পেলে মালদার আমের চাহিদা বিদেশের বাজেরে যথেষ্ঠ কমবে।
মালদার সাহাপুরের আম চাষী অনিল দাস জানান,প্রথমে আমের যথেষ্ট মুকুল এসেছিল। ভেবে ছিলাম করোনার প্রভাব কাটিয়ে এবছর আমের যথেষ্ট ফলন হবে। তা জেলায় ও বিদেশের বাজারে বিক্রি করে লাভ হবে।
কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় আমের ফলন সে ভাবে হয়নি। তবে যেটুকু হয়েছে তা বিদেশের বাজারে কিভাবে পাঠাবো।
ডিজেলর মুল্য এত বেশি যে পণ্য পরিবহনে খরচ করে বিদেশ বাজার আমের দাম সেই ভাবে পাওয় যাবে না। যদি বিদেশের বাজারে ১২০-১৫০টাকা কিলো হয় তাহলে লাভ হবে। না হলে ক্ষতি হবে। সেই কারনে আমরা ভেবছি আম চাষ আর করবো না।
আমের আড়ৎদার সৌমেন পোদ্দার জানান,যে ভাবে ডিজেলর দাম বেড়ছে তাতে যে আম বিদেশে পাঠিয়ে বিগত বছরে লাভ ১০টাকা ছিল এই বছর তার দ্বিগুন না হলে ব্যবসায়িরা ক্ষতির মুখে পড়বে। সেই কারনে বিদেশের আমের বাজার বাজার কতটা পাবে তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তা রয়েছে।