ডিভিসির জল নিয়ে বৈঠক হল বর্ধমানে।বৃহস্পতিবার বর্ধমানের সার্কিট হাউসে পাঁচ জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে রবি ও বোরো চাষের জল নিয়ে বৈঠক হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: শুক্রবার ০১,ডিসেম্বর :: ডিভিসির জল নিয়ে বৈঠক হল বর্ধমানে।বৃহস্পতিবার বর্ধমানের সার্কিট হাউসে পাঁচ জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে রবি ও বোরো চাষের জল নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে পৌরহিত্যে করেন বর্ধমান ডিভিশনের ডিভিশন্যাল কমিশনার সুরেন্দ্র গুপ্ত।
বৈঠক শেষে ডিভিশন্যাল কমিশনার সুরেন্দ্র গুপ্ত জানান এবছর ডিভিসির জলাধারে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল মজুত নেই।গত বছরের তুলনায় জলাধারে জলের পরিমাণ কম আছে। স্বাভাবিক ভাবেই এবছর রবি ও বোরোচাষে ডিভিসি থেকে  জল ছাড়ার  পরিমাণ এক লাফে অনেকটা কমে যাবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার,জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী,হুগলির সভাধিপতি রঞ্জন ধাড়া ও পশ্চিম বর্ধমানের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরী।এছাড়া হাওড়া ও বাঁকুড়া জেলার আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।
গত বছর বোরো চাষে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৪৭ হাজার একর এরিয়ায় ডিভিসির সেচ খালের মাধ্যমে জল দেওয়া হয়।কিন্তু এবছর জলাধারে জলের মজুত কম থাকায় পূর্ব বর্ধমান জল পাবে মাত্র ২৭০০০ একর এরিয়া।অন্যদিকে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় গত বছর ১৬৫০ হাজার একর এরিয়ায় জল দেওয়া হয়েছিল। এবছর জল দেওয়ার পরিমাণ একই আছে।হাওড়া জেলার ক্ষেত্রেও জলের পরিমাণ কমে নি।গতবছরের মত এবছরও জল দেওয়া হবে ২৮০০ হাজার এরিয়ায়।
ডিভিশন্যাল কমিশনার সুরেন্দ্র গুপ্ত জানান ডিভিসির জলাধারে জল মজুতের পরিমাণ ১ লক্ষ ৪৪ হাজার একর ফুট।
রবি চাষের জন্য ডিভিসির জলাধার থেকে সেচখাল গুলির  মাধ্যমে জল ছাড়া শুরু হবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে।অন্যদিকে ২৬ জানুয়ারি থেকে বোরো চাষের জন্য জল ছাড়া হবে বলে জানান জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 + nine =