নিউজ ব্যুরো :: সংবাদ প্রবাহ :: ঢাকা :: ৫ই,এপ্রিল :: বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কাপড়ের পাইকারী বঙ্গবাজার মার্কেটসহ আশপাশের ৬টি মার্কেটের ৫ হাজার ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ঈদের আগে কেউ জমি জমা আবার কেউ অর্থলগ্মি-ধার দেনা করে দোকানে মাল তুলেছেন। আশা ছিল এবারের ঈদে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। সেই আশা শেষ হয়ে গেছে। ঢাকার বঙ্গবাজারে লাগা আগুনে ব্যবসায়ীদের সকল স্বপ্ন ভেঙ্গেচুরে খান খান করে দিয়েছে। ঘুরে দাঁড়াতে গিয়ে উল্টো চোখের জলে ভাসছে ব্যবসায়ীরা। বঙ্গবাজারের আগুনে নি:স্ব করেছে প্রায় ৬ হাজার ব্যাবসায়ীর আশা-আঙ্খা ও স্বপ্ন।
ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী ও বিমান বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা জীবন বাজি রেখে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। আগুনের কারণে ধোঁয়া মিলেমিশে অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে যায় বঙ্গবাজার ও গুলিস্তানের আকাশে। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় আগুন লাগার পর থেকে বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের ভিড় বাড়ে। সঙ্গে বাড়ছে ব্যবসায়ীদের আর্তনাদ আর আহাজারি।
একদিকে ধোঁয়া, আরেকদিকে মানুষের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে বঙ্গবাজার এলাকার পরিবেশ। তবে বঙ্গবাজার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক দুই হাজার কোটি টাকার। এমন দাবি করে প্রাথমিকভাবে ৭০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ চেয়েছন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।
শুধু বঙ্গবাজার কাঠের মার্কেটেই আড়াই হাজারের মতো দোকান রয়েছে। এখানে ছোট ছোট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দোকান করেন। সামনে ঈদ। সবাই ঈদকেন্দ্রিক বেচাকেনার পণ্য তুলেছেন দোকানে। এমন সময় এই অগ্নিকাণ্ড বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে এনেছে। এই ব্যবসায়ীদের পুঁজি বলতে দোকানের সামগ্রীই । দোকানের সামগ্রী পুড়ে গেলে তাদের আসলে পুুুুঁজি বলতে সব শেষ।
এখন তাদের জন্য আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, রমজানের ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসায় ক্ষতি পুষিয়ে দিতে প্রাথমিকভাবে ৭০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেওয়া হোক।