ঢাক ঢোল বাজনা, খোল করতাল ও হরিনাম কীর্তন বাজিয়ে ১০৩ বছরের বৃদ্ধ কে শ্মশান যাত্রায় নিয়ে গেল আত্মীয় পরিজন।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: ৭ই,এপ্রিল :: ঢাক ঢোল বাজনা, খোল করতাল ও হরিনাম কীর্তন বাজিয়ে ১০৩ বছরের বৃদ্ধ কে শ্মশান যাত্রায় নিয়ে গেল আত্মীয় পরিজন। ওই বৃদ্ধের নাম চন্দ্রমা প্রসাদ সাহা। বাড়ি গাজোলের ঘাকসশোল গ্রামে। পরিবারের লোকের দাবি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক লোক তার পরিবারে এই ব্যক্তি।

চন্দ্রমা প্রসাদ সাহা আধার কার্ডে তার জন্ম তারিখ রয়েছে ১৭ -৭ -১৯২০ . পরিবারের লোকের দাবি তার বয়স সরকারিভাবে ১০৩ কিন্তু উনার বয়স ১০৫ বছরেরও বেশি। শতবর্ষ পার হলেও নিজেই করে চলাফেরা করে জীবন যাপন করতেন এবং বাড়ির ছোটখাটো কাজও করতেন। মাঝেমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়তেন ওই বৃদ্ধ। গত বছর পুজোর সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

পরিবারের লোকজন ভেবেছিলেন যে আর হয়তো তাকে বাঁচানো যাবে না। চিকিৎসা করার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং গতকাল সকালেই তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন গাজোল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর বাড়ি যাওয়ার পর সোমবার বিকেলে বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন চন্দ্রমা প্রসাদ সাহা।

চন্দ্রমা প্রসাদ সাহার তিন পুত্র ও এক কন্যা ও নাতি নাতনিদের রেখে গেলেন তিনি। তার ছেলেদের নাম ভগবান প্রসাদ সাহা, লছমন প্রসাদ সাহা মহাবীর রাম সাহা ও কন্যা সুকুমারী সাহা। চন্দ্রমা প্রসাদ সাহা তিনি তার বড় ছেলে ভগবান প্রসাদ সাহার কাছেই থাকতেন ঘাকশোলের বাড়িতে । গতকাল মারা যাওয়ার পর তাকে সাদুল্লাপুর শ্মশানে সৎকার করতে নিয়ে যাওয়া হয়।।

মঙ্গলবার রাতে ঢাক ঢোল বাজিয়ে এবং হরিনাম সংকীর্তন বাজিয়ে খোল কর্তালের মাধ্যমে শ্মশান যাত্রায় পা মেলান আত্মীয় পরিজন ও গ্রামবাসীরা।। চন্দ্রমা প্রসাদ সাহার একাধিক নাতি রয়েছে তারা আনন্দের সাথে ঠাকুরদাকে নিয়ে যান শ্মশানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × four =