তন্ত্র সাধনা করে মেয়েকে বাচানোর ফাঁদ পেতে লক্ষ লক্ষ টাকা ও সোনার গহনা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এক জ্যোতিষীর বিরুদ্ধে।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বালুরঘাট :: বৃহস্পতিবার ১,আগস্ট :: তন্ত্র সাধনা করে মেয়েকে বাচানোর ফাঁদ পেতে লক্ষ লক্ষ টাকা ও সোনার গহনা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এক জ্যোতিষীর বিরুদ্ধে। পাল্টা ফাঁদে আটকে বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন ওই জ্যোতিষী। এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল হুলুস্থুল কান্ড বালুরঘাট শহরের ছিন্নমস্তা কলোনী এলাকায়।

এই ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় পৌছে বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে ওই জ্যোতিষী কে উদ্ধার করে বালুরঘাট থানার পুলিশ। ঘটনা নিয়ে ওই প্রতারক জ্যোতিষীর বিরুদ্ধে প্রতারিত পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বালুরঘাট থানায়। যে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

বালুরঘাট শহরের ছিন্নমস্তা কলোনী এলাকার বাসিন্দা রামানন্দ পালের অভিযোগ, ছাত্রপল্লীর বাসিন্দা ওই অভিযুক্ত জ্যোতিষী আকাশ সুকদেব সরকার শিলিগুড়ির একটি মন্দিরে থাকেন। যিনি বেশ কয়েক বছর আগে তাদের বাড়িতে এসে রামানন্দবাবুর স্ত্রী মারা যাবে বলে একটি ভবিষ্যৎবাণী করেন। যাকে বাঁচাতে হলে সোনার গহনা দরকার হবে বলেও দাবি করেছিলেন ওই জ্যোতিষী। কিন্তু রামানন্দ বাবু তা বিশ্বাস করেননি।

                                                                            ছবি  ::  রামানন্দ   পাল (প্রতারিত )

এরপর তার স্ত্রী মারাও যান। যার পরেই ফের রামানন্দবাবুর মেয়ে মারা যাবে বলে একটি ভবিষ্যৎ বানী করেন ওই জ্যোতিষী। স্ত্রীকে হারানোর পর মেয়ের মৃত্যুর এমন ভবিষ্যৎবানী শুনে কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সত্তোরর্দ্ধ ওই বৃদ্ধ। এরপরেই জ্যোতিষীর কথামতো প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকার সোনা ও কিছু নগদ টাকা তার হাতে তুলে দেন ওই বৃদ্ধ।

সেগুলি শুদ্ধিকরণ করবার নাম করে নিয়ে গিয়ে চম্পট দেয় ওই জ্যোতিষী। এদিকে দীর্ঘ বেশ কিছুদিন ধরে ওই জ্যোতিষীর কাছ থেকে সোনার গহনা না পেয়ে পাল্টা ফাঁদ পাতেন সত্তোরর্দ্ধ ওই বৃদ্ধ। এদিন যে হিসাবে ছিন্নমস্তা কলোনী এলাকায় বৃদ্ধ রামানন্দ বাবুর বাড়িতে ওই প্রতারক জ্যোতিষী পৌঁছাতেই তাকে আটকে রেখে বিক্ষোভ শুরু হয় এলাকায়।

ঘটনার খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ এলাকায় পৌঁছালে ওই অভিযুক্ত জ্যোতিষী কে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন বাসিন্দারা। এদিকে এই ঘটনা জানিয়ে ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে বালুরঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বৃদ্ধ রামানন্দ পাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 + twelve =