নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: দুর্গাপুর :: রবিবার ১২,অক্টোবর :: নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছে। সে এখন হাঁটতে পারছে না। বিছানায় শুয়ে আছে। আমি এখানে তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা যেকোনো মুহূর্তে তাকে হত্যা করতে পারে।
তাই আমরা তাকে ওড়িশায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বিশ্বাস হারিয়ে গেছে। আমরা চাই না সে বাংলায় থাকুক। সে ওড়িশায় তার পড়াশোনা করবে।’
ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণী দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এমবিবিএস ছাত্রী। শুক্রবার রাতে, সে তার এক বন্ধুর সঙ্গে বাইরে ছিল, তখনই দুষ্কৃতীরা তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতা মেয়েটির বাবা জানিয়েছেন যে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ওডিশা প্রশাসন তাদের সাহায্য করছে, তিনি তার মেয়েকে ওডিশার একটি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য অনুরোধ করেছেন।’
যদিও গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। একজনকে আটক করা হয়েছে।
ধৃত তিনজনের নাম অপু বাউরি (২১), ফিরদৌস শেখ (২৩) এবং শেখ রিয়াজুদ্দিন (৩১)। পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার পুরুষ বন্ধুটিও তদন্তের আওতায় আছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, ঘটনায় দোষী কাউকে রেয়াত করা হবে না।