উদয় ঘোষ :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: তিন পুতুলের লক্ষ্মীপুজোকে ঘিরে জমজমাট হয়ে ওঠে বর্ধমানের বাদামতলার চৌধুরীবাড়ি। বাদামতলা চৌধুরী বাজারের চৌধুরী পরিবারের এই পুজোর ঐতিহ্য তিন পুতুলের লক্ষ্মীপুজো। প্রতি বছরই এই লক্ষ্মীপুজোর সময় পরিবারের আত্মীয়-স্বজন এক জায়গায় জড়ো হন । সারাবছর যে যার নিজের কাজে ব্যস্ত থাকেন। এমনকী বর্ধমান শহর ছাড়াও দেশ-বিদেশের আত্মীয়স্বজন যাঁরা থাকেন তাঁরা এই লক্ষ্মী পুজোর সময় বর্ধমানের বাড়িতে হাজির হন। সবকিছু বাদ দিয়ে এক ছাতার তলায় এসে উপস্থিত হন তিনদিনব্যাপী এই পুজোতে। চলে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খাওয়া-দাওয়া, হইহল্লা।
এই বাড়ির মহিলারা জানান, যত বড় কাজকর্ম হোক না কেন, যতই ব্যস্ততা হোক না কেন। পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে তাঁরা সব পুজোকে যতটা মান্যতা দেন তার থেকে বেশি এই লক্ষ্মী পুজোয় তাঁরা মাত্রা একেবারে অন্যরকম দেন। দুর্গাপুজোয় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়ে তাঁরা পুজো দেখেন। কিন্তু, লক্ষ্মী পুজোর সময় তাঁরা বাড়িতে একসঙ্গে এই তিনটে দিন আনন্দ উপভোগ করেন। যার জন্য সারা বছর এই সময়টার অপেক্ষায় থাকেন চৌধুরী পরিবারের সদস্যরাও। বর্ধমানের নামকরা বাদামতলা চৌধুরীবাজার। আর চৌধুরী বাজারের এই চৌধুরী পরিবারের তিন পুতুলের লক্ষ্মীপুজোর ঐতিহ্যই আলাদা।
অন্যদিকে, বাদামতলার কচিপুকুরের আর এক বনেদি বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় মেতে ওঠেন পরিবারের সদস্যরা। ঘোষবাড়ির লক্ষ্মীপুজোর ঐতিহ্য আজও অটুট। নিয়ম রীতি মেনে হয় ঘোষবাড়ির পুজো। শহর ছাড়াও বাইরের আত্মীয়স্বজনরা এই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় ঘোষবাড়িতে হাজির হয়ে পুজোয় মেতে ওঠেন। চলে খাওয়াদাওয়া। দু’দিন ধরে এই পুজো চলে। প্রতিমা একবছর ধরে বাড়িতেই অধিষ্ঠিত থাকেন। পরের বছর পুজোর আগে এই পুরানো প্রতিমা ভাসান দিয়ে ফের নতুন প্রতিমা এনে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়।