নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: ধুপগুড়ি :: বৃহস্পতিবার ১০,জুলাই :: ধুপগুড়ি মহকুমার ঝাড় আলতা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের গাড়িয়ালটারি এলাকায় ২০০৭ সালে চালু হয় এই কেন্দ্রটি। তখন কেন্দ্রটির নাম দেওয়া হয় গাড়িয়ালটারি নির্মল রায় হাউস। ২০০৭ সালে অন্যের বাড়ি থেকেই পথ চলা শুরু হয় এই কেন্দ্রের।
এরপর দীর্ঘ কয়েক বছর সেখানে চলার পরে স্থানীয় অপর এক বাড়িতে শুরু হয় রান্না ও পড়াশোনার কাজ। তারপর একে একে কেটে যায় আরো কিছুটা সময়। বর্তমানে স্থানীয় বাসিন্দা জগদীশ রায়ের বাড়ির উঠোনের এক প্রান্তে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঝোপঝাড়ের মধ্যে একটি প্লাস্টিক ছাউনি টাঙিয়ে চলছে যাবতীয় কাজ।বাধ্য হয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী খোলা আকাশেই শিশুদের পড়াশোনার পাঠ দিচ্ছেন। রান্নাবান্না থেকে খাওয়া-দাওয়া সমস্ত কিছুই চলে এই ঝোপঝাড়ের মাঝেই। যেকোনো মুহূর্তে বিভিন্ন পোকামাকড় থেকে শুরু করে রোদ বৃষ্টির মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হয় সেন্টারের কর্মী থেকে শুরু করে সেন্টারে আসা পড়ুয়া শিশু ও অভিভাবকদের।
অভিযোগ এখনো পর্যন্ত তিন জায়গায় পরিবর্তন করা হয়েছে এই কেন্দ্রটি। এক গ্রামবাসী বাড়িতে হয় পঠন-পাঠন থেকে শিশুদের খাবার তৈরি। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে এই কেন্দ্রটি। অথচ এই কেন্দ্রের জন্য ছিলো বড় অংকের টাকার বরাত,সুবিশাল বিল্ডিং নির্মাণের কাজ চার বছর ধরে চলেও শেষ পর্যন্ত কাজ অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে রয়েছে ।
কোন এক অজ্ঞাত কারণে ঠিকাদোর সংস্থা পালিয়ে গিয়েছে কাজ ছেড়ে। তারপর থেকেই ভরসা অন্যের বাড়ি। একটি ত্রিপল টাঙিয়ে চলছে সেন্টার। আর এতেই তুষের আগুনের মত তৃণমুল পরিচালিত রাজ্যে প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে এলাকার মানুষের ।