তাদের নাম আজ গর্বের আলোয় ভাসলেও পরিবারের আর্থিক সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বপ্নপূরণের সবচেয়ে বড় অন্তরায় । উস্তির চকদেবু ঘোষ এলাকার নবম শ্রেণির ছাত্র অভিক হালদার, মগরাহাটের আমড়াতলার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী আরাধ্যা ভৌমিক এবং ফলতার হাসিম নগরের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র মেঘাদ্রী ঝুলকি ।
তিনজনই সম্প্রতি কেরালার রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ফিটনেস ফেডারেশন যোগাসন স্পোর্টস জাতীয় প্রতিযোগিতা ২০২৫-এ দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছে। এর মধ্যে মেঘাদ্রী ঝুলকি স্বর্ণপদক জয় করে সবার নজর কাড়ে ।
আরাধ্যা ভৌমিক আগেই নদীয়ায় স্টেট লেভেল প্রতিযোগিতায় সোনার পদক পেয়েছিল। অভিক হালদারও তার অসাধারণ পারফরম্যান্সে বিচারকদের মন জয় করেছে।
তিনজনই শিরাকোল এলাকার প্রশিক্ষক সুজিত কুমার মণ্ডলের কাছে নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। প্রশিক্ষক বলেন, “এই শিশু প্রতিভাগুলো একদিন দেশের নাম উজ্জ্বল করবে। কিন্তু অর্থসংকট ওদের স্বপ্নকে থামিয়ে দিতে পারে, সেটাই সবচেয়ে বড় ভয়।”
পরিবারগুলির আর্থিক অবস্থা খুবই সাধারণ। মেঘাদ্রীর বাবা বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত । আরাধ্যার বাবা সিভিক ভলান্টিয়ার । আর অভিকের বাবার একটি ছোট ব্যবসা আছে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বিদেশযাত্রার যে ব্যয় প্রয়োজন তা জোগানো এই পরিবারগুলির পক্ষে প্রায় অসম্ভব।