সুদেষ্ণা মন্ডল:: সংবাদ প্রবাহ ::গঙ্গা সাগর :: গত বছর করনা কালে জলে নেমে ডুব দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারী করেছিলো আদালত। জেলা প্রশাসন ও তীর্থ যাত্রীদের যতটা সম্ভব জলে না নামার জন্য প্রচার চালিয়ে ছিলো। পরিবর্তে করোনা সংক্রমণ এড়াতে বেশ কিছু বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। যেমন ই স্নান, নদীর জল পাইপ লাইনের মাধ্যমে নিয়ে গিয়ে অস্থায়ী বাথরূম তৈরী করে স্নানের ব্যবস্থা। গতবারে ই স্নান ঘিরে পূর্নার্থীদের আকর্ষণ তুঙ্গে উঠেছিল।
এবার আরো এক ধাপ এগিয়ে জেলা প্রশাসন পরিকল্পনা করছে ড্রোন থেকে আকাশ পথে জল ছিটিয়ে তীর্থ যাত্রীদের স্নান করাবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন প্রতি বছর গঙ্গাসাগর মেলায় কিছু না কিছু নতুনত্ব নিয়ে আসে। দক্ষিন ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসন নতুন বছরের উপহার হিসাবে গঙ্গা সাগর যাত্রীদের এই পরিষেবা তুলে দিচ্ছে।
এই নয়া পদ্ধতিতে পূর্ণ স্নানের ভীড় এড়ানো গেলেও জেলা প্রশাসন কর্তাদের দাবী মতো বিধি মানার জন্য মেলার আগে ও মেলা চলাকালীন লাগাতার প্রচার করতে হবে।
জানা গিয়েছে প্রাথমিক ভাবে ২০ টির মতো ড্রোন নেওয়া হবে এই স্নান যাত্রার জন্য। সংক্রান্তির দিন বিভিন্ন পাত্রে সমুদ্রের জল ভরে নিয়ে যাওয়া হবে কপিল মুনির মন্দিরে। সেখানে পূজো করে সেই পাত্র ড্রোনের সঙ্গে আটকে তা উড়িয়ে নিয়ে আসা হবে । একটি নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করে সেখানে পুণ্যার্থীদের জড়ো করে আকাশ থেকে স্নান করানোর ব্যবস্থা করা হবে। একেকবারে ১৫০ থেকে ২০০ জন পুণ্যার্থী কে এই পদ্ধতিতে স্নান করানো যাবে আশা করছেন প্রশাসনিক কর্তারা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে করোনা কারনে অনেক কিছুতেই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ভীড় এড়ানোই প্রসাশনের লক্ষ্য। তাই যতোটা সম্ভব বিকল্প উপায়ে স্নানের ব্যবস্থা করা গেলে সংক্রমণ আটকানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারা। সেই ভাবনা থেকেই এবার ড্রোনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
