সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: ডায়মন্ডহারবার :: সোমবার ৮,জানুয়ারি :: নিজের লোকসভা কেন্দ্রের ৭৬ হাজার ১২০ জনকে হাজার টাকা করে বার্ধক্য ভাতা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পৈলানের যুব সংঘের মাঠে প্রবীণ নাগরিকদের শ্রদ্ধার্ঘ জ্ঞাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সভা মঞ্চ থেকে এই দিন ১০০ জন প্রবীণ নাগরিকদের হাতে হাজার টাকার চেক তুলে দেন তিনি। এই দিনের সভা মঞ্চ থেকে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের রূপরেখা তৈরি করে দেন তিনি। সম্প্রতি দীর্ঘদিন যাবৎ রাজনৈতিক মহলে তৃণমূলের আদি ও নব্যের যে দ্বন্দ্ব চলছিল ।সেই বিষয়ে এই প্রথমবার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।অভিষেক বলেন, ‘অনেকে বলছে তৃণমূলে নতুন-পুরনো দ্বন্দ্ব। তৃণমূল মমতার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। কোনও দ্বন্দ্ব নেই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চলছে। দল আমাকে যখন যা দায়িত্ব দিয়েছে আমি পালন করেছি। ২০২১ সালে দল সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে বলেছিল, দিদির সুরক্ষ কবজ করেছি, ২০২৩ সালে নবজোয়ার করতে বলেছিল। আমি সব করেছি। ২০২৪ সালেও দল যদি কোনও দায়িত্ব দেয় সেটা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।’ এরপরই অভিষেক বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত সুসংগঠিতভাবে দল চালাচ্ছেন।
আমার যা ক্ষমতা আছে, সব নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকব।’হ্যাঁ আমি বলেছি যে বয়স হলে কর্ম ক্ষমতা কমে। এতে দ্বিমত কোথায়। ২৫ বছরের যুবক দলের দলের জন্য যে পোকার খাটতে পারবে ৭০ বছরের মানুষ সে পোকার খাটতে পারবে না। আমি সেটা অনুভব করেছি।
দ্বন্দ্ব না থাকার কথা বললেও দলের বয়স্ক ও তরুণ নেতা-কর্মীদের মধ্যে পার্থক্যটাও তুলে ধরেন অভিষেক। তিনি বলেন,’আমি আড়াই মাস রাস্তায় ছিলাম বয়স ৩৬ বলে, ৭০ হলে পারব না। ২০ বছর পর, ৩০ বছর পর, ৪০ বছর আমার কর্মক্ষমতা কমবে। তার মানে এটা নয় যে অভিষেক বলেছেন আমি আর দলের কোনও কাজ করব না। আমি দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে প্রাণ থাকা পর্যন্ত দলের কাজ করব। এতে গৃহদাহ, দ্বন্দ্বের বিষয়টা কোথা থেকে আসছে।