তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে শোকজ করা উচিত, সাসপেন্ড করা উচিত এই দাবি তুলে আমি স্পিকারকে চিঠি করবো।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: দুর্গাপুর :: শনিবার ১২,এপ্রিল :: সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কথা বলছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আর প্রধানমন্ত্রীকে দোষ দিচ্ছেন। তিনি এই কথা বলতে পারেন না। ওনাকে শোকজ করা উচিত, সাসপেন্ড করা উচিত এই দাবি তুলে আমি স্পিকারকে চিঠি করবো।

দুর্গাপুরে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল থেকে এভাবেই পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে নিশানা করলেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই। শুক্রবার দুপুরে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি গেল বাম-রামের চক্রান্তে এই অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল।

সেই মিছিল শেষে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ২৬,০০০ চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে বলেন, “আমার কয়েকজন বন্ধু বিচারক বলছিলেন নির্বাচনের আগে মোদী সাহেব তাদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তাদের বলেছিলেন বাংলায় উত্তরপ্রদেশ, বিহার থেকে মাসলম্যান ঢুকিয়ে দেবো, পুলিশকে দেখে নেব।

বাংলাকে তছনছ করে দেব। শুধু আপনারা আমাদের পাশে থাকুন। টাকায় টাকায় ভরিয়ে দেব।” অযোগ্য শিক্ষকদের সাথে যোগ্য শিক্ষকদের চাকরি গেছে এর দায় সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের এই অভিযোগ তুলে শুক্রবার বিকেলে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে পাল্টা মিছিল করে বিজেপি।

এই মিছিলে যোগ দিয়ে বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘরুই কার্যত জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে একহাত নেন। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,”টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল অযোগ্যরা। টাকা নিয়েছিল তৃণমূল নেতারা। যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে যোগ্যদেরও।

যোগ্যরা এখন আন্দোলনে নামলে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করা হচ্ছে লাথি মারা হচ্ছে। দুর্গাপুরে তৃণমূল মিছিল করছে আর ওরাই চুরি করে ফাঁক করে দিয়েছে। আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি।

নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলছেন প্রধানমন্ত্রী নাকি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তাদের হুমকি দিয়েছিলেন। উনি এই ধরনের কথা বলতে পারেন না। আমি স্পিকারকে চিঠি করব।

উনাকে শোকজ এবং সাসপেন্ড করা দরকার। উনি যে কথা বলেছেন সেই ঘটনার প্রতিবাদে এবং দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমাদের আজকের প্রতিবাদ মিছিল।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − twelve =