স্পর্শ দাস :: সংবাদ প্রবাহ :: কুলতলি :: রবিবার ২৫,জুন :: – মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই খবর পাওয়ার পর শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলী বিধানসভার মেরিগঞ্জ দু’নম্বর গ্রামে পৌঁছান বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
শনিবার বিকেলে তিনি কুলতলী বিধানসভার মেরিগঞ্জ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি কর্মী সমর্থক ও প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন। কথা বলার পাশাপাশি সবরকম সাহায্যর আশ্বাস দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বিজেপি প্রার্থীদের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির দলের হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই শাসক দলের কর্মী-সমর্থকেরা তাদের বাড়িতে হামলা চালায় এবং বাড়িতে লুটপাট করে।
এমনকি আগ্নেয়াস্ত দেখিয়ে প্রাণে মারারও হুমকি দেয় শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। এই বিষয় নিয়ে বিজেপির রাজ্য কমিটির কাছে সাহায্যের জন্য দারস্ত হন বিজেপি প্রার্থীরা। এরপর বিজেপি কর্মী সমর্থক ও প্রার্থীদের বাড়িতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন ।
রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন হলেই তবেই নিরপেক্ষ ভোট হতে পারে। কার্যত পুলিশ প্রশাসন বিজেপি প্রার্থীদের কাছে এসে হুমকি দিচ্ছে যে তুমি বিজেপি করছ কেন! এই কাজ করার জন্যই কি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছে।
সমস্ত বিষয় রাজ্যের নির্বাচন কমিশনকে জানাবো এছাড়াও রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে ৫০০০০ টাকার বিনিময়ে প্রতিটি বুথে শাসকদলের প্রার্থীদের জিতিয়ে দেওয়ার জন্য কন্ট্রাক্ট করা হচ্ছে। আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর গোসা হয় রাজ্যের এই পুলিশ দিয়ে ভোট করাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা হয় না।
কুলতলি থেকে এদিন মগরাহাট আসেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সেখানেও বিজেপি কর্মী সমর্থক ও প্রার্থীদের সঙ্গে তিনি দেখা করেন।