তৃণমূল জমানায় উলোটপুরাণ ! প্রধানের দুর্নীতির প্রতিবাদে হাওড়ার ডোমজুড়ের কোলড়া পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিলেন তৃণমূল কর্মীরাই।

সংবাদ প্রতিনিধি :: সংবাদ প্রবাহ :: হাওড়া :: তৃণমূল জমানায় উলোটপুরাণ ! প্রধানের দুর্নীতির প্রতিবাদে হাওড়ার ডোমজুড়ের কোলড়া পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিলেন তৃণমূল সদস্যরাই। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের দুর্নীতির প্রতিবাদে তৃণমূল সদস্যরাই পঞ্চায়েত অফিসে তারা ঝুলিয়ে দিলেন।

সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে ডোমজুড়ের কোলড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে। পঞ্চায়েত প্রধান অফিসে ঢুকতে গেলে অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্যরা তাঁকে বাধা দেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। শাসক দলের সদস্যরাই পঞ্চায়েত প্রধানকে গ্রেফতারের দাবি তোলেন।

জানা গেছে, হাওড়ার ডোমজুড়ের কোলড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১২ জন সদস্য রয়েছেন। এদের জনের মধ্যে ৯ জন তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য, ২ জন বিজেপির এবং ১ জন নির্দল।

বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পঞ্চায়েত পরিচালনা নিয়ে তৃণমূল সদস্যদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেন না। বরং তিনি বিজেপির দু’জন এবং নির্দলের একজনকে নিয়ে পঞ্চায়েত চালান। প্রধানের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, আমফান পরবর্তীকালে লক্ষ লক্ষ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন।

এছাড়াও কবরস্থানের মাটি ফেলা, রাস্তা তৈরি এবং ১০০ দিনের কাজ থেকেও লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি করেছেন। এরই প্রতিবাদে এদিন সকালে তৃণমূলের পাঁচ সদস্য এবং তাদের অনুগামীরা পঞ্চায়েত অফিসে তারা ঝুলিয়ে দেন। তাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী প্রতিদিন পঞ্চায়েত অফিসে এসে বসে থাকেন। তিনি প্রতিটি পঞ্চায়েতের কাজে হস্তক্ষেপ করেন।

সম্প্রতি পঞ্চায়েত অফিস থেকে ল্যাপটপ চুরি যায়। তাদের অভিযোগ, এই চুরির পিছনেও পঞ্চায়েত প্রধানের হাত থাকতে পারে। এদিন পঞ্চায়েত প্রধান যখন পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে যান সেই সময় নিজের দলের সদস্যরাই তাঁকে অফিসে ঢুকতে বাধা দেন। তাঁকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন। পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ থাকায় তাকে বাইরে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এদিকে, ওই পঞ্চায়েত প্রধান নিলুফা মল্লিক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের দাবি মতো কাজ না করায় তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। তিনি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন বলে দাবি পঞ্চায়েত প্রধানের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen + sixteen =