নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নদিয়া :: ১৯শে,এপ্রিল :: তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের ছাদ থেকে এক রুগীর লাফ দেওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো হাসপাতালে। যদিও হাসপাতাল কতৃপক্ষের দাবি ওই যুবতী ছাদে পরে যায়। হাসপাতাল কতৃপক্ষ ওই যুবতীর চিকিৎসা করে।পরে ওই যুবতীর পরিবারের লোকজন তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়।
হাসপাতাল সুত্রে খবর, সোমবার সাহেবনগর এলাকার সুপ্রিয়া প্রামানিক নামে বছর পচিশের ওই যুবতীকে মানসিক সমস্যার কারণে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাঁকে এইচ ডি ইউ তে ভর্তি করে। মঙ্গলবার সকালে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল হলে তাঁকে ফিমেল ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসক।
তাঁর মানসিক সমস্যা থাকার জন্য হাসপাতাল কতৃপক্ষ বাড়ির দুজন লোককে ওই যুবতীর কাছে থাকার অনুমতি দিয়েছিল।
সকাল থেকে দুজন ওই যুবতীর কাছে থাকলেও একটা সময় দুজনেই তাঁর কাছ থেকে চলে যায়। সেই সুযোগে সকলের নজর এড়িয়ে ছাদে উঠে যায়। এরপর ছাদ থেকে লাফ দেয় বলে হাসপাতালে আসা লোকজন জানিয়েছে। ওই যুবতী লাফ দিয়ে নীচে পড়ার সাথে সাথে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। এরপর হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করে।
চিকিৎসার পর তাঁকে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য শক্তি নগর জেলা হাসপাতালে রেফার করে। যদিও ওই যুবতীর পরিবারের লোকজন তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়।
এই বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষ দাস বলেন, মানসিক সমস্যা নিয়ে ওই তরুণী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আমরা তাঁর বাড়ির দুজনকে সব সময় তাঁর কাছে থাকার জন্য অনুমতি দিয়েছিলাম। ওরা কেউ ওই তরুণীর কাছে না থাকার জন্য সে কোনভাবে ছাদে উঠে যায়। তারপর পড়ে যায়। হাসপাতালের তরফ থেকে সমস্ত ধরনের চিকিৎসা করা হয়েছে বলেও জানান হাসপাতাল সুপার।