থানা ঘেরাওয়ের নামে সরকারী সম্পত্তি নষ্ট – মহিলা পুলিশ কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে দুই মহিলা সহ সাত জনের ১৪ দিনের জেল

নিজস্ব সংবাদদাতা :: বাঁকুড়া :: সংবাদ প্রবাহ :: শনিবার বড়জোড়া থানার পুলিশ ধৃতদের জেলা আদালতে তুললে বিচারক কাকলী অধিকারী এই নির্দেশ দেন।প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ঐ থানা এলাকার মালিয়াড়া-মেট্যালা রাস্তা থেকে সাতটি গরু আটক করার পাশাপাশি গাড়ি চালক বিশ্বজিৎ ধীবর সহ রাজেশ শেখ ও আনারুল মল্লিক নামে তিন জনকে বড়জোড়া পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশের পক্ষ থেকে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারার কারণে সাতটি গোরু সহ ঐ ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানানো হয়েছিল। এই মুহূর্তে ধৃতরা আদালতের নির্দেশে পুলিশী হেফাজতে আছেন। এই ঘটনার মাঝেই শুক্রবার রাতে ঐ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতারীর প্রতিবাদে বড়জোড়া থানা ঘেরাও কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে সরকারী সম্পত্তি নষ্ট, পুলিশ কর্মীদের মারধোর, মহিলা পুলিশ কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে তাদের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। রাতেই পুলিশ ঐ ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আইনুর মিদ্যা, বাহার মিদ্যা, সোহের মিদ্যা

লুদেজা বিবি,আবেদ আলি শেখ, রোশবা বিবি ও আফজল মোল্লাকে গ্রেফতার করে এদিন আদালতে তোলে। অভিযুক্তদের আইনজীবি সমীর ব্যানার্জী বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। আমরা জামিনের আবেদন করেছিলাম, বিচারক তা খারিজ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।অভিযুক্ত লুদেজা বিবির দাবি, তারা ভাঙ্গচুর করেননি। গোরু পাচারের দায়ে অভিযুক্তদের পরিবারের লোকেদের কথায় তারা থানায় এসেছিলেন বলে তিনি দাবি করেন। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন। তাঁর দাবি, শান্ত বাঁকুড়া জেলাকে অশান্ত করতে জেহাদি আর রোহিঙ্গাদের পাঠানো হচ্ছে। থানা আক্রমণ ও গরু পাচার বিষয়ে তারা প্রয়োজনে সিবিআই তদন্তের দাবি করবেন বলেও তিনি জানান।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + 3 =