দশক পর পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন, দ্বিস্তরীয় হলেও উন্নয়নের আশায় দার্জিলিংবাসী

নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: বৃহস্পতিবার ৬,জুলাই :: পাহাড়ে শেষ পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল ২০০০ সালে। তার পর কেটে গিয়েছে দু’দশক। দাবি ছিল পঞ্চায়েত ভোটের। অবশেষে দু’দশক পর পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোট অনুষ্ঠিত হবে। রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো ৮ জুলাই। এই বার্তায় খুশির ছোঁয়া লেগেছে পাহাড়বাসীর মনে। তবে বিরোধীদের মনে প্রশ্ন আদৌ কি অবাধ ও শান্তি ভোট হবে পাহাড়ে?

রাজ্যের অন্যান্য জেলায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন হলেও পাহাড়ে তা হয় দ্বিস্তরীয়। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের দাবি রয়েছে অনেক দিন ধরে। ২০১১ সালে জিটিএ চুক্তিতে পাহাড়ে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা বলা হয়। কিন্তু তার জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। সেই প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। ফলে এ বারও দ্বিস্তরীয় অর্থাৎ পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচন হবে দার্জিলিংয়ে। দ্বিস্তরীয় হলেও উন্নয়নের আশায় একে স্বাগত জানাচ্ছেন পাহাড়বাসী।

এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা সভাপতি অনীত থাপার। তিনি বলেন,’পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রয়োজন ছিল। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম। পাহাড়ের মানুষরা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারকে ধন্যবাদ জানাই এই নির্বাচনের জন্য।’

শিলিগুড়ির পুরসভার মেয়র তথা তৃণমূলের নেতা গৌতম দেবের কথায়,’ এটা পাহাড়বাসীর জন্য একটা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। উন্নয়নের স্বার্থে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সম্প্রসারণ প্রয়োজন। জিটিএ বা অন্য কোনও সংস্থাকে দিয়ে এই উন্নয়নের কাজ হচ্ছে না। এতদিন পাহাড়বাসী সংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × four =