সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: পাথরপ্রতিমা :: সাদা ক্যানভাসে রঙিন তুলির টানে নিজের স্বপ্ন পূরনের লক্ষ্যে ছুটে চলেছে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার যুবক সমরেশ মাইতি। ছোটবেলা থেকে অভাবের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে ২২ বছরের আঁকার ওপর কঠিন অনুশীলনের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই নিজের নাম নথিভুক্ত করেছে,” ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ড ও ন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডে”।দারিদ্রতাকে উপেক্ষা করে কঠিন অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে ইন্ডিয়া গট ট্যালেন্ট ও গিনিস বুকে নিজের নাম তালিকা করতে মরিয়া। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দ্বীপ পাথরপ্রতিমা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা রামগঙ্গা অঞ্চল দক্ষিণ গোবিন্দপুরে এক চিলতে বাড়ি বাস চিত্রকর সমরেশ মাইতির।
চরম দারিদ্রতা মাইতি পরিবারের শিশুদেরকে অঙ্কন প্রশিক্ষণ দিয়ে যৎসামান্য অর্থ উপার্জন করেই চলে সংসার। যৎসামান্য অর্থ দিয়ে চলে সংসার । দারিদ্র্যকে উপেক্ষা করে নিজের লক্ষ্য স্থির করে এগিয়ে চলেছে। সমরেশের ছবি আঁকার কৌশল আর পাঁচটা চিত্র শিল্পীর মতন নয়।
কখনও মুখে তুলে নিয়ে সাদা ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলছে নানা চিত্র কখনো বা নিজের শরীরে একাধিক অঙ্গে মোট ২২ টি তুলি সাদা ক্যানভাসে কখনো ফুটিয়ে তুলছে ফুল ও কখনও বা সিংহ।সমাজের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের ছবি আঁকা দেখে সমরেশ অনুপ্রাণিত হয় নিজের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে ছবি আঁকার জন্য। কঠিন অনুশীলনের পর সেই কৌশল রপ্ত করে। সরকারি সাহায্যের আশায় বসে রয়েছে সত্তরোর্ধ্ব সমরেশের মা।
এই অবস্থায় সমরেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য গৌতম পাত্র। তিনি জানান, সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার অভূতপূর্ব প্রতিভাধর সমরেশ। অভাবের জন্য এই রকম এক প্রতিভাধর চিত্রশিল্পী হারিয়ে যাবে আমরা সেটা হতে দিতে পারিনা।
সমরেশ যাতে তার নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে সেই জন্য সবরকম সাহায্য পঞ্চায়েতে তরফ থেকে করা হবে। সমরেশ কি পারবে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে সেটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।