নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নয়াদিল্লি :: বুধবার ০৪ অক্টোবর :: নয়াদিল্লিতে পুরনো সংসদ ভবনের অদূরেই কৃষি ভবন। সেখানে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর দফতর। এদিন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকেই সময় দেওয়া হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের নেতা ও সাংসদদের। সন্ধে ৬টায় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছিলেন।
সেই মোতাবেক অভিষেক, রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার সহ প্রায় চল্লিশ জন তৃণমূল নেতা ও সাংসদ গিয়েছিলেন কৃষিভবনে। বাংলা থেকে বঞ্চিতদের চিঠি নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। কনফারেন্স রুমে বসিয়ে তাঁদের প্রথমে চা বিস্কুটও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রাখার পর জানানো হয় যে মন্ত্রী দেখা করবেন না।
কিন্তু রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ তাঁদের ঘিরে ফেলে দিল্লি পুলিশ। তাঁদের উঠে যেতে বারবার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু অভিষেকও পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দেন যে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করে তাঁরা যাবেন না। এর পরই রাত ন’টা নাগাদ পুলিশ তাঁদের ধাক্কা দিয়ে কৃষিভবন থেকে বের করে দেন।
তৃণমূলের কোনও সাংসদকে ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ, কাউকে আবার চ্যাংদোলা করে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়েছে বলে অসন্তোষ জানিয়েছে তৃণমূল।
দেখা যায়, কৃষি ভবনের পিছনের গেট থেকে বের করে তৃণমূল সাংসদদের পুলিশের গাড়িতে তোলা হচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মৌসম নূর সহ সাংসদদের আটক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আটক করা হয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও প্রতি মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে।