দুই বোনের আধার কার্ডের নম্বর এক , ফলে সমস্যায় পড়েছে বনশ্রী ও জয়শ্রী

সুদেষ্ণা মন্ডল  :: সংবাদ প্রবাহ :: কুলপি :: শনিবার ৩১,আগস্ট :: দুই বোনের একটাই আধার কার্ড নম্বর। অথচ দু’জনের রয়েছে আলাদা আধার কার্ড‌। দু’জনের নামও আলাদা। তবুও আধার কার্ড নম্বর এক হওয়ায় অনেক পরিষেবা পাচ্ছে না তারা।

ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি ব্লকের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের। বড় বোনের নাম জয়শ্রী বিজলি ও অপরজন বনশ্রী বিজলি। আধার কার্ডের সমস্যার জন্য জীবন স্তব্ধ হতে বসেছে কুলপি থানার রামকৃষ্ণপুরের বিজলী পাড়ার বাসিন্দা বনশ্রী বিজলীর। এবছর বনশ্রী উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছে। কলেজে বি.এ. কোর্সে তাঁর ভর্তি হওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু আধার কার্ডের সমস্যার জন্য তিনি কলেজেও ভর্তি হতে পারেননি।

এমনকি আধার কার্ডের সমস্যার জন্য সরকারি প্রকল্পের কোন সাহায্য পাননা। এখনও পর্যন্ত তিনি কন্যাশ্রী প্রকল্পেরও টাকা পাননি। রেশনও তাঁর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। করোনা কালে পরিবারের সবাই ভ্যাকসিন পেলেও, আধার কার্ডের সমস্যার জন্য বনশ্রীর কপালে ভ্যাকসিন পর্যন্ত জোটেনি।

দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আধার কার্ড সংশোধনের জন্য তিনি বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু আজও পর্যন্ত সেই সমস্যার সমাধান হয়নি। বিজলী পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রত্নাকর বিজলীর তিন মেয়ে। জয়শ্রী বড় ও বনশ্রী মেজো মেয়ে। জয়শ্রীর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বনশ্রী এখনও ছাত্রী। ২০১৩ সালে বনশ্রীর আধার কার্ড তৈরি করা হয়েছিল।

পরে ২০১৭ সালে তাঁর দিদি জয়শ্রীর আধার কার্ড তৈরি করা হয়। জয়শ্রীর আধার কার্ড তৈরি করার পর থেকেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। দুই বোনের আধার কার্ড দুটি আলাদা হলেও, আধার নম্বর একই রয়েছে। আধার কার্ডে বনশ্রীর আঙ্গুলের ছাপ মিলছে। বায়োমেট্রিকে বনশ্রীর আঙ্গুলের ছাপ মিললেও, আধার কার্ডে নাম ও ছবি দেখা যাচ্ছে জয়শ্রীর। আর এই বিষয় নিয়েই তৈরি হয়েছে সমস্যা।

এ বিষয়ে বনশ্রীর মা স্বপ্না বিজলী বলেন, “দীর্ঘ প্রায় সাত বছর ধরে দুই মেয়ের আধার কার্ডের এই সমস্যা নিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − thirteen =