দু’বছর স্বামীর মৃত্যুর পরেও শুক্রানু ব্যবহার করে পুত্র সন্তান

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বীরভুম  :: শনিবার ১৬,ডিসেম্বর ::  বীরভূমের মুরারই থানার এলাকার এক মহিলার। মহিলার নাম সঙ্গীতা কেশরী।স্বামীর নাম অরুণ প্রসাদ কেশরী। বিবাহ আবদ্ধ হওয়ার পরও তাদের কোন সন্তান হয়নি দীর্ঘ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও। তবে সঙ্গীতা কেশরী দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে একদিন না একদিন তিনি  মা হবেন।
বাচ্চা না আসার ফলে তার স্বামী কলকাতার একটি পরীক্ষাগারে শুক্রানু সংরক্ষণ করে রাখেন দু বছর আগে। এরই মধ্যে দু’বছর আগে কোভিডে  অরুণ প্রসাদ কেশরী মারা যান। স্বামীর রাখা শুক্রাণু ব্যবহার করে মা হলেন,আশা পূর্ণ হল স্বামী মৃত্যুর পরেও ৪৮ বছর বয়সের এক মা এর। ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতিতে মা হন।
মুরারই এর বাসিন্দা অরুণ প্রসাদ কেশরী বিয়ে হয়েছিল ২৭ বছর আগে উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির সঙ্গীতা কেশরীর সঙ্গে। স্বামীর মুদিখানার দোকান স্বামীর মৃত্যুর পর সঙ্গীতা কেশরী চালাতেন দোকানটি ‌। গত মঙ্গলবার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন সেখানে চিকিৎসার জটিলতার কারণে রাত্রি দশটা নাগাদ রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । সেই দিন রাত্রি এগারোটা নাগাদ অস্ত্রোপাচার করে আড়াই কেজি ওজনের পুত্র সন্তান জন্ম দেন সঙ্গীতা কেশরী।
স্বামীর মৃত্যুর হওয়ার পরও আইভিএফ পদ্ধতিতে বাচ্চা হওয়ার পরও পরিবারের কেউ নেই তার পাশে। তার সাহসিকতার জন্য কুর্নিশ জানিছেন এলাকার মানুষ। এখনো পর্যন্ত তিনি একাই রয়েছেন রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার অসুস্থতার কারণে,তবে তিনি সুস্থ আছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 + 5 =