নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: দুর্গাপুর :: মঙ্গলবার ১৪,অক্টোবর :: দুর্গাপুরের বহুল আলোচিত গণধর্ষণ কাণ্ডে ফের চাঞ্চল্যকর মোড়। তদন্তের অগ্রগতিতে এবার পুলিশ গ্রেফতার করেছে নির্যাতিতারই এক সহপাঠীকে।
অভিযোগ, ওই সহপাঠীই ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়ার ছক কষতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল এবং অভিযুক্তদের সঙ্গে পূর্বপরিচিত ছিল।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদ্য গ্রেফতার হওয়া যুবকের নাম প্রকাশ করা না হলেও সে স্থানীয় একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, নির্যাতিতার সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল এবং সেই সম্পর্কের সুযোগেই অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে।
পুলিশের দাবি, ওই ছাত্রই কৌশলে নির্যাতিতাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল সেই নির্জন জায়গায়, যেখানে পরবর্তীতে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে পাঁচজন মূল অভিযুক্ত, আর ষষ্ঠ ব্যক্তি অর্থাৎ সহপাঠীকে ধরা হয়েছে ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে। পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার জবানবন্দি ও মোবাইল কল রেকর্ডের ভিত্তিতে এই গ্রেপ্তারি সম্ভব হয়েছে।
দুর্গাপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) জানিয়েছেন, “নতুন গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রমাণ মিলেছে যে সে পুরো ঘটনাটির পরিকল্পনায় যুক্ত ছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে।”
অন্যদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষ সোমবার বিকেলে দুর্গাপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, অভিযুক্তদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে কঠোর শাস্তি দিতে হবে এবং নির্যাতিতার পরিবারকে যথাযথ নিরাপত্তা দিতে হবে।
রাজ্য মহিলা কমিশন ইতিমধ্যেই ঘটনাটির ওপর নজর রেখেছে এবং তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট চেয়েছে। দুর্গাপুরবাসীর মুখে এখন একটাই প্রশ্ন— “বিশ্বাসঘাতকতা করে সহপাঠীই যখন এই নৃশংসতার অংশ হয়, তখন মেয়েরা নিরাপত্তা খুঁজবে কোথায়?”