নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: মেমারি :: বৃহস্পতিবার ৩,এপ্রিল :: পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি ১ নম্বর ব্লকের দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়র ২৭৮ নম্বর বুথে পঞ্চায়েতের একটি ১৩০ ফুট মত ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। ড্রেন নির্মাণ করার জন্য যে মাটি তোলা হয়েছিল এই মাটি নাকি অবৈধ ভাবে বিক্রি করা হচ্ছে!
নিজেকে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি বলে দাবি করে এমনই অভিযোগ লিখিত আকারে মেমারি থানায় ও মেমারি এক নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিককে জানিয়েছে গোলাম রহমান মল্লিক নামে এক ব্যক্তি,
অভিযোগ পত্রে উল্লেখ রয়েছে যে গ্রামেরই বাসিন্দা আমজাদ আলী মোল্লা নামে এক ব্যাক্তিকে পঞ্চায়েত সদস্য নাসিরুদ্দিন মল্লিক মাটি বিক্রি করেছেন।
বড়র গ্রামের ২৭৮ নং বুথে গিয়ে জানতে পারি যে আমজাদ আলী মোল্লা নাকি গ্রামেই থাকেন না,কর্মসূত্রে থাকেন মুম্বাইয়ে। তারপরই আমরা ফোন মারফত যোগাযোগ করি আমজাদ আলী মোল্লার সাথে। তিনি পরিষ্কার আমাদের জানান যে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেনই না।
মাটি বিক্রির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন পঞ্চায়েত সদস্য নাসির উদ্দিন মল্লিক। বদনাম করার উদ্দেশ্যেই এই মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে।
আর যিনি অভিযোগ করেছেন তিনি বুথের সভাপতি কিনা তার জানা নেই। কটাক্ষ করে নাসির উদ্দিন মল্লিক বলেন” তার আচার আচরণ তো এমনিতেই ব্লক সভাপতি এর মত”।
পঞ্চায়েত সদস্য নাসির উদ্দিন মল্লিক বলেন যে,ড্রেন তৈরি করতে যে মাটি তোলা হয়েছিল সেই মাটি স্থানীয় মসজিদে দেওয়া হয়েছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
মসজিদ কমিটির সদস্য জানান যে মসজিদের কাজে মাটি আমরা পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে চাইলে পঞ্চায়েত সদস্য সকলের সাথে আলোচনা করো মাটি নেওয়ার অনুমতি দিলে আমরা সেই মাটি মসজিদের কাজে নিয়েছি, তবে কোন টাকার বিনিময়ে নয়,,,
এদিকে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে ঘটনাস্থলে যান দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নিতাই ঘোষ ও মেমারি ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রঞ্জিত কোঁড়া।
সমস্ত কিছু দেখে দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নিতাই ঘোষ বলেন যে দলের ভাব মূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। গ্রামবাসীর সাথে আলোচনা করেই মাটি মসজিদকেই দেওয়া হচ্ছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।