সজল দাশগুপ্ত :: সংবাদ প্রবাহ :: শিলিগুড়ি :: বৃহস্পতিবার ১৯,জুন :: ১৯ জুন (বুধবার রাত ২–৩টার সময়), প্রধাননগর থানার চম্পাসারি মোড়ে দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের (সম্ভবত SBI) এটিএম বুথে হামলা চালানো হয় ।
দুষ্কৃতীরা গ্যাস কাটার ব্যবহার করে এটিএম ভল্ট ভেঙে মোট প্রায় ₹10.5 লক্ষ টাকা চুরি করে । চুরি শেষে আগুন দিয়ে এটিএম দুইটি পুড়িয়ে দেয় তারা ।
পাশের বাড়ির বাসিন্দা বেলায়—তার মেয়ে ফোন করে পুলিশে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া না পেয়ে বাবা মায়ের থেকে ভিডিও নেয় যা পুলিশের হাতে পৌঁছেছে ।
চম্পাসারি ও আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করে বিশ্লেষণ করছে তদন্তকারী দল । সীমান্ত নজরদারি: টোল গেটে লাগানো ফুটেজ ও গাড়ির নম্বর প্লেট পরিবর্তনের বিষয়ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
আঞ্চলিক টিম সতর্ক: শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং জেলাগুলোতে পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে । ময়নাগুড়ি (৫৪ লক্ষ টাকা) এবং রায়গঞ্জে (৩৩ লক্ষ টাকা)-র লুটের সাথে এই চক্রের সম্পর্ক কতটা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
স্থানীয়রা সিবিটিভি ও নিরাপত্তারক্ষীর অভাবে উদ্বিগ্ন, শহরের ২৪×৭ আহত নিরাপত্তা প্রণালীর তীব্র দাবি উঠেছে । এক দোকানদারের অভিমত, “এমন জায়গায় এত সহজে লুট … ২৪ ঘণ্টার নিরাপত্তা থাকা দরকার”
পুলিশ এখন দুষ্কৃতীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে, সন্দেহভাজনদের এই “টেকনিক্যাল” লুট-চক্রে যুক্ত করা হচ্ছে; ইতিমধ্যে কয়েকটি উচ্চপদস্থ অফিসার ও পুলিশ আধিকারিক ঘটনা তদন্তের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ।
একইসাথে প্রতিবেশী জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ে অভিযান শুরু হয়েছে, দ্রুত আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
শিলিগুড়িতে সাম্প্রতিক এটিএম হামলা একটি পরিকল্পিত, প্রযুক্তিনির্ভর চক্রের অংশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যা সর্বোচ্চ মাত্রায় গ্যাস কাটার, আগুন, দ্রুত পালানোর ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়েছে।
যদিও একাধিক জেলা পুলিশের সতর্ক পদক্ষেপ ও মামলা-নিরীক্ষণ শুরু হয়েছে, তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে দুষ্কৃতীরা ধরা না পরলে জনমনে আরও উদ্বেগ বাড়বে।