সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: বারুইপুর :: রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হতেই দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে রায়দিঘির মন্ডলপাড়া এলাকার মাঝি পরিবারের সদস্যদের। কারণ, দেশে ফেরার বিমান না পেয়ে একমাত্র ছেলে অর্ঘ্য মাঝি ইউক্রেনে আটকে পড়েছেন।
এমনকি অর্ঘ্যের সঙ্গে আটকে রয়েছেন আরও তিন বাঙালি ডাক্তারি পড়ুয়া। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে একটি ফ্ল্যাটে আটকে রয়েছেন তাঁরা। প্রত্যেকেই ইউক্রেনের কিভ মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ছাত্র।
স্থানীয় সূত্রের খবর, রায়দিঘির মন্ডল পাড়া এলাকার মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে অর্ঘ্য। চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র। বাবা শিবশঙ্কর মাঝি স্থানীয় বাজারে একটি ছোট ওষুধ দোকান চালান। কোভিড পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাস চালু হওয়ায় বাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি। আবার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই গত বছরের ৮ অক্টোবর ইউক্রেন চলে যান। সেখানে ডার্নিপস্কি শহরের একটি ফ্ল্যাটে অলোক হালদার, শুভাশিস ভুঁইয়া ও সম্বিত দাসের সঙ্গে ভাড়া থাকেন অর্ঘ্য।
অলোকের বাড়ি জয়নগরের রানাঘাট এলাকায়। শুভাশিস পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের বাসিন্দা৷ আর সম্বিতের বাড়ি হুগলির জিরাটে। তাঁরা চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। শুক্রবার ভোর থেকে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা শুরু হতেই আতঙ্ক দানা বেঁধেছে চার তরুণের মনে। হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলের মাধ্যমে অর্ঘ্যের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন মা বিশাখা মাঝি।আচমকা রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনে কিভ মেডিকেল
ইউনিভার্সিটির হোস্টেলে অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গে আটকে পড়েছেন রায়দিঘির কাশিনগরের বাসিন্দা অর্কপ্রভ বৈদ্য। ইউনিভার্সিটির পঞ্চম সেমিস্টারের মেডিকেল পড়ুয়া অর্ক। বাবা পলাশ বৈদ্য কাশিনগর বাজারে একটি মেডিকেল হল চালান। লকডাউন কাটিয়ে গত জানুয়ারি মাসের ২৩ তারিখ ইউক্রেনে গিয়েছিলেন অর্ক। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে পরিবারের সদস্যদের। ফোনে নিয়মিত অর্কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন মা সুমনা বৈদ্য।
দুই ছাত্রের পরিবারের সাথে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন রায়দিঘির বিধায়ক আলোক জলদাতা।তিনি জানান , মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমি এসেছি। পরিবারের পাশে থাকার সব রকম সাহায্য আশ্বাস দিয়েছে। ছাত্রদের দ্রুত দেশ ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।