সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ : : সুন্দরবন :: এটাকেই বলে ভাগ্য ! শীতের শুরুতেই দক্ষিণ রায়ের দর্শন পর্যটকদের। শুধু সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল নয়, পাশাপাশি হরিণ এবং কুমির দেখতে পেলেন সুন্দরবনের ঘুরতে আসা একদল পর্যটক।রবিবার সকালে জয়নগর থেকে ওই পর্যটক দলটি সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য রওনা দেয়।মঙ্গলবার দলটি ভ্রমণ করছিলেন নবাঁকি জঙ্গল এলাকায়।
সেইসময় নবাঁকি জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে নদীতে সাঁতার কাটতে কাটতে দোঁবাকির জঙ্গলে যায়।পাশাপাশি পর্যটক দলটি বাড়তি পাওনা একাধিক কুমির আর হরিণ দেখতে পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এমন দৃশ্য দেখে আনন্দিত পর্যটক দলটি । পর্যটকদের দাবি একসঙ্গে বাঘ,হরিণ আর কুমির আমরাই দেখতে পেলাম। যা সুন্দরবনের বুকে বিরলতম ইতিহাস।
দেশ-বিদেশের অনেক পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণে আসেন নদী বেষ্টিত নোনা জলের নদী,খাঁড়ী,বাদাবন ও সুন্দরবন তথা বিশ্বের বৃহৎ এবং হিংস্র দক্ষিণ রায়ের দর্শন করতে। কিন্তু প্রবাদে আছে “বাঘের দেখা আর সাপের লেখা”। অতএব ভাগ্যে না থাকলে এসব হয় না। গত বেশ কয়েক বছর সুন্দরবনে পর্যটকদের ভীড় তুলনা মূলক ভাবে সংখ্যায় কম।
তার একটাই কারণ বেশীর ভাগ পর্যটকরা বাঘ দেখতে না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যায়। তাছাড়া লকডাউন আর করোনার জেরে প্রায় দুবছর জঙ্গলে যাওয়ার অনুমতি ছিল না পর্যটকদের।
গত ১ অক্টোবর থেকে পর্যটকদের জন্য সরকারি ভাবে ছাড়পত্র মিলেছে। পাশাপাশি চলতি শীতের মরশুম শুরুর প্রথম পর্যায়ে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত জঙ্গল লাগোয়ায় এলাকা যেভাবে দীর্ঘক্ষণ দক্ষিণ রায়ের দেখা গেছে, তাতে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের ভিড় এবার বাড়তে পারে ।