নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বেলদা :: সোমবার ৮, ডিসেম্বর :: ধান কাটার ব্যস্ত মরসুম চলছে। বিভিন্ন প্রান্তে মেশিনে চলছে আমন ধান কাটার কাজ। মাঠে পড়ে থাকা অব্যবহৃত খড়— যাকে কৃষিবিজ্ঞানের পরিভাষায় নাড়া বলা হয়— তা সরাতে অনেক চাষিই আশ্রয় নিচ্ছেন আগুনের।
প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা জারি থাকা সত্ত্বেও একাধিক এলাকায় খোলা মাঠে লাগানো হচ্ছে আগুন। এতে শুধু খড়ই পুড়ছে না, শীতের উত্তুরে হাওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পৌঁছে যাচ্ছে পাশের জমিতেও। পুড়ে নষ্ট হচ্ছে সোনালি ধানের দাঁড়ানো ফসল।
চলতি সপ্তাহে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে মিলেছে নাড়া পোড়ানোর একাধিক অভিযোগ। খাকুড়দা এলাকায় এক কৃষিজমিতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে আতঙ্কিত হন স্থানীয় চাষিরা।
দ্রুত পুলিশের টোল-ফ্রি নম্বরে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বেলদা থানার পুলিশ ও জোড়াগেড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশ।
পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা ও ধান কাটার কাজে ব্যস্ত চাষিরা গাছের ডাল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ঠিকই, তবে ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে কয়েক বিঘা জমির ধান ও নাড়া। কারা আগুন লাগিয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এর আগের দিন দাঁতন-২ ব্লকের বাগগেড়িয়া এলাকা থেকেও নাড়া পোড়ানোর ফলে ব্যাপক ফসলহানির অভিযোগ ওঠে— ছাই হয়ে যায় বহু জমির ধান। পরদিন একই ঘটনা খাকুড়দায়।
পুলিশ ও স্থানীয়দের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বারবার প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এভাবে নাড়া পোড়ানোর ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে কৃষি মহলে। পরিবেশ দূষণ এবং ফসলহানির এই দ্বৈত বিপদের সামনে দাঁড়িয়ে প্রশাসনও পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত।

