নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: গঙ্গাসাগর :: রবিবার ২,নভেম্বর :: নতুন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসকের দায়িত্ব পাওয়ার পর গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের পূজা দিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা।
কপিলমুনি মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতির কাজ খতিয়ে দেখলেন জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা। গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৬ এর মেলা প্রস্তুতির সংক্রান্ত সমস্ত রকম দিক খতিয়ে দেখেন তিনি। এর পাশাপাশি গঙ্গাসাগর মেলার সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
শনিবার দুপুরে নামখানা পয়েন্টে অবতরণের পর জলপথে বেনুবন হয়ে গঙ্গাসাগরে পৌঁছান জেলাশাসক। প্রথমেই তিনি মেলার মূল তট এলাকা ও সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ ভাঙন-প্রবণ অঞ্চলগুলি ঘুরে দেখেন।
গত কয়েক বছরে যেসব স্থানে ভাঙন পরিস্থিতি গুরুতর হয়েছে, সেইসব স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করে পরিকাঠামো সুরক্ষার উপর জোর দেন তিনি।
এর পাশাপাশি মেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টও খতিয়ে দেখা হয়। জেলাশাসকের এই পরিদর্শনে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এসপি কোটেশ্বর রাও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি শ্রীমন্ত কুমার মালি, সাগরের বিডিও কানাইয়া কুমার রায় এবং মেলার পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকেরা।
পরিদর্শনের পরে জেলাশাসক একটি প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন। সেই বৈঠকে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরাও উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা হয় মেলা সংক্রান্ত নিরাপত্তা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, যাতায়াত ব্যবস্থা, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ জরুরি বিষয়গুলি নিয়ে।
প্রতি বছর লক্ষাধিক তীর্থযাত্রীর সমাগম হয় গঙ্গাসাগরে। তাই জরুরি পরিষেবা যেন দ্রুত তীর্থযাত্রীদের কাছে পৌঁছোয় এবং ভাঙনের প্রভাব মেলা এলাকায় না পড়ে, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন জেলাশাসক। আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী গঙ্গাসাগর মেলা।
সময় থাকতে সব পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন অরবিন্দ কুমার মিনা। তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের পরই গঙ্গাসাগরের প্রস্তুতিতে এই তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ প্রশাসনিক স্তরে আশার আলো জাগিয়েছে।

