নদীর ওপর বেহাল বাঁশের সেতু , জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে পারাপার

 সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: পাথরপ্রতিমা :: মঙ্গলবার ২২,এপ্রিল :: দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত উপকূল তীরবর্তী এলাকা পাথরপ্রতিমা। প্রতিবছর বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় আঘাত আনে এই এলাকায় কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে নদীর ওপর তৈরি হওয়া বাঁশের সেতু।

বিপদ জেনেও কার্যত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হয় এলাকার বাসিন্দাদের। যে কোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড়সড়ো বিপদ। প্রশাসনকে জানিও কোনরকম লাভ হয়নি। জীবন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে গোপাল চন্দ্র নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষেরা।

সেলেমারি নদীর উপর বাঁশ দিয়ে তৈরি ভাঙ্গা সাঁকোটি গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েত ও দূর্বাচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের “গোপালকৃষ্ণ মিলন সেতু” হিসেবে চিহ্নিত। প্রায় ৫০ মিটারের দৈর্ঘ্যের এই সেতুটির উপর প্রতিদিন কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী দুটি বড় বড় বাজারের লোকজন ও কয়েক হাজার সাধারণ যাত্রী যাতায়াত করেন।

এই সেতুর বেহাল দশা হওয়ার কারণে প্রায় ৭ কিলোমিটার ঘুরে প্রয়োজনীয় কাজে যেতে হয় এলাকার মানুষের । সুন্দরবনের এই সেতু প্রায় ৩৬ বছরে মাঝে একটি স্থান পরিবর্তন হয়েছে। এলাকার মানুষের দাবি ছিল এই সেতুটি কংক্রিটের হোক।

কিন্তু স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ দূর্বাচুটি গ্রাম পঞ্চায়েত শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই আছে, বামফ্রন্ট আমল থেকে এখনো পর্যন্ত।অন্যদিকে গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েত শাসকদলের হলেও গোপাল নগরের যে জায়গাটি তে সেতু আছে তার আশেপাশে বিজেপি সদস্য জেতায় শাসক দলের অবহেলা বা চক্ষুশুল হয়ে ওঠে এই ব্রিজটি।

ফলে এই ভগ্ন সেতুটির উপর দিয়ে সাইকেল, অসুস্থ রোগীকে দোলায় বসিয়ে নিয়ে যাওয়া, মহিলাদের জল আনা, বাজারের মালপত্র নিয়ে যাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।

ভোটের আগে সমস্ত দলই কথা দেয় সেতু হবে পঞ্চায়েত প্রধান থেকে সভাপতি, এমএলএ থেকে জেলা পরিষদ, এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরেও চিঠি দিয়েছেন বলে এলাকার মানুষ জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 2 =