সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: সুন্দরবন :: দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা বিডিও অফিসের গেট থেকে হাজার মিটার দূরে নদী বাঁধ তৈরি নিয়ে এবার বড়োসড়ো দূর্নীতির অভিযোগ উঠলো সেচ দপ্তরের বিরুদ্ধে । সেচ দপ্তরে ঘুঘুর বাসা !!
রামগঙ্গা ফেরিঘাট থেকে ভারাতলা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার নদী বাঁধে ইটের ব্লগ দিয়ে তৈরির জন্য বরাদ্দ হয় প্রায় ছয় কোটি টাকা ।নিম্নমানের ইমারতি সামগ্রী দিয়ে বাঁধ তৈরি করে একটা বড় অংশের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় বিরোধী দলের নেতারা । এক মাসের মধ্যে এক পশলা বৃষ্টিতে সিমেন্ট ধুয়ে যাওয়ায় পড়ে আছে শুধু বালি।
দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। হাত মুঠো মারলে উঠে আসছে মুঠো মুঠো বালি। কোন ভিত ছাড়া শুধুমাত্র রাস্তার উপর ইট সাজিয়ে তৈরি হয়েছে রেলিং।
তার গায়ে নেই কোন প্লাস্টার । এমনটাই অভিযোগ তাদের । এই নিয়ে স্থানীয় উপ-প্রধান বিষয়টি স্বীকার করলেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন প্রশাসনের সমস্ত স্তরের কর্তাব্যক্তিরা। সেচ দপ্তর, বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতি, থেকে জেলা পরিষদ পর্যন্ত । এ বিষয়ে কেউই কথা বলতে নারাজ ।
আর এর ফলে বিরোধীরা সুর চড়িয়ে বলছে জনগণ বুঝে গেছে কোটি কোটি টাকার এই কাজে কতটা দুর্নীতিতে জড়িয়ে গিয়েছে সেচ দপ্তর ।কাজ শুরু হওয়ার সময় এই এলাকার মানুষের ছিল বুকভরা আশা । এখন তারা হতাশায় দিন গুনছে অশনির প্রভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসে।