নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নন্দকুমার :: বুধবার ৩১,জুলাই :: পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানার অন্তর্গত নামালক্ষ্যা এলাকায় কুমোরআড়া গ্রামে মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে অশান্তি করে সেক আপন । এর পরেই ঘটনায় প্রতিবাদ করে স্ত্রী, কিছু সময় পরেই স্ত্রী রান্না করতে যান আর সেই সময় পেছন থেকে স্ত্রীর গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে, বাড়িতে থাকা ওই মহিলার মা ছাড়াতে তার শাশুড়িকেও ধারালো অস্ত্রর কোপ মারে জামাই।
এরপর একে একে এইভাবে ছয়জনকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে। এলাকা স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভর্তি তাম্রলিপ্ত গভমেন্ট মেডিকেল কলেজে। অন্যদিকে ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলে ব্যাপক মারধর করে গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে আসে নন্দকুমার থানার পুলিশ, ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় থানায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে ভগবানপুর থানা এলাকার বাসিন্দা শেখ আপনের সঙ্গে নন্দকুমার থানার কুমোরআড়া গ্রামের বাসিন্দা আসমা বিবি বিয়ে হয়েছিল। তাদের তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত শেখ আপন ওই মহিলার উপর অত্যাচার চালায় বারবার বলেও কোন সমস্যা সমাধান হয়নি এরপর বেশ কয়েক মাস আসমা বিবি আশ্রয় নেয় তার বাবার বাড়িতে।
এদিন শেখ আপন মদ্যপ অবস্থায় তার শ্বশুর বাড়িতে ঢুকে অশান্তি করার আসমা বিবি প্রতিবাদ করে যার ফলে ঘটে এই ঘটনা। ঘটনা জেরে এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।