নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বন দপ্তরের ডিএফও অনুপম খাঁকে ধমকাতে শুরু করেন

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: দুর্গাপুর :: রবিবার ১৭,আগস্ট :: প্রায় ২১ হেক্টর জমিতে ৩৩ হাজার বৃক্ষরোপনের পরিকল্পনা নিয়েছিলো বন দপ্তরের পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর অফিস। দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের হেতেডোবা শিল্পতালুকের পাশে বাঁশগোড়া এলাকায় এই বৃক্ষরোপনের সূচনা হয়েছে গত ১৫ অগাস্ট।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নামবালম , পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় দফতরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক, আসানসোল দুর্গাপুরে উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার চেয়ারম্যান কবি দত্ত ও দুর্গাপুর ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার বা ডিএফও অনুপম খাঁ।

ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সেই অনুষ্ঠানের মধ্যেই হটাৎ উত্তেজিত হয়ে যান নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তিনি বন দপ্তরের ডিএফও অনুপম খাঁকে ধমকাতে শুরু করেন। নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে বলতে শোনা যায় তাকে না জানিয়ে কেন এখানে গাছ লাগানোর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আমি এই এলাকার বিধায়ক।

উচিত ছিল, আগে আমার সঙ্গে আলোচনা করা। পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসকের সামনেই তিনি চিৎকার করে বন আধিকারিক অনুপম খাঁকে এই ব্যাপারে আপত্তি জানান। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আসেন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও কবি দত্ত। তারা নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে শান্ত করেন।

এই প্রসঙ্গে বিতর্ক তৈরি হতেই রবিবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার এ এলাকায় প্রায় বারো হাজার মানুষের বসবাস। তাদের অভিযোগের গুরুত্ব না দিয়ে কোন আলোচনা ছাড়াই এমনকি আমার সাথে আলোচনা না করেই বিজ্ঞাপন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে কোন অদৃশ্য কারণে।

শতাধিক মহিলা গ্রামবাসী আমার কাছে এই ব্যাপারে অভিযোগ করেন। তাদের এই সমস্যার কথা আমাকে জানান। তাই তাদের জন্য আমার এই লড়াই। আমি তাদের কাছে দায়বদ্ধ। আমি তাদের যেকোনো বিপদে পাশে থাকবো। আমার কথার জন্য কেউ দুঃখ পেলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + fourteen =