নাড়ু পাকাতে ভুলতে বসেছেন অনেকেই, লক্ষ্মী পুজোয় দোকানই ভরসা

সুদেষ্ণা মন্ডল  :: সংবাদ প্রবাহ :: বারুইপুর :: শুক্রবার ২৭,অক্টোবর :: সবেমাত্র শেষ হয়েছে বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। আর এবার বাঙালি মাতবে লক্ষ্মী পুজোতে। বাঙালির প্রতিটা ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আরাধনা তে। সাবেকি প্রথা মেনে লক্ষ্মী পূজার আয়োজন করে প্রতিটি ঘরের লক্ষীরা। আর এই লক্ষী পূজা মানে বিভিন্ন ধরনের নাড়ুর ব্যবস্থা করা।

দেবতাদের বড় আদরের ধন, সমুদ্র মন্থন করে পাওয়া, লক্ষ্মীর পুজোয় নাড়ু তো দিতেই হয়, কিন্তু তার জন্য সময় বার করবে কে তাই দোকানের নাড়ুই প্রতি এখন ভরসা। আগেকার দিনে দেখা যেত লক্ষী পুজোর আগের দিন প্রতিটা ঘরে ঘরে বিভিন্ন ধরনের নাড়ু বানাতে বসতেন মা-দিদি-বৌদিরা। নারকেল মালা কুরতে কুরতে হাত অবশ হয়ে আসত। তাই পালা করে চলত নারকেল কোরা।

কিন্তু সেগুলো আজ অতীত এখন আর কেউ বাড়ির প্রতি ভরসা করে না। তাই ঝামেলা এড়াতে রেডিমেড নাড়ুর দিকে ঝুঁকছে আমজনতা। আর এখন লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে মিষ্টির দোকানগুলিতে এখন নারকেল নাড়ু বানানো হয়। পাড়ার মোড় হোক বা নামকরা মিষ্টি দোকান সব জায়গায় এখন নাড়কেল নাড়ু মেলে।

পাঁচ থেকে পনেরো টাকা বিভিন্ন দামে বিভিন্ন আকারের নাড়ু মিলছে দোকানে দোকানে। পুজো উপলক্ষে অলিগলিতে অনেক ছোট ছোট দোকান বসে। গুড় দিয়ে পাকানো মুড়ি, মুকড়ির পাশাপাশি তিলের নাড়ু, নারকেল নাড়ুও মেলে।

এ প্রসঙ্গে এক বাসিন্দা বলে বাড়িতে নাড়ু বানালে তো খুব ভাল হয়। কিন্তু বানানোর লোক কই। তিনি বলেন, ‘‘মায়ের বয়স হয়েছে। তাই স্ত্রী একা হাতে সামলাতে পারবে কি না সেই ভয়ে এগোয় না। তাই দোকানের নাড়ুই ভরসা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × four =