সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: নরেন্দ্রপুর :: মঙ্গলবার ১৩,ফেব্রুয়ারি :: দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানার কামালগাজী বাইপাসের উপর একটি অভিজাত আবাসনের মধ্যে চলছিল অনলাইনে মানুষ ঠকানোর কাজ। কল সেন্টারের আদলে অ্যামাজন কোম্পানির সফটওয়্যার নকল করে অভিজাত ওই আবাসনের একটি ঘরে অনলাইনে বিদেশীদের লোভনীয় জিনিস সস্তা দামে অফার করা হত।
পরে টাকা তারা ডিপোজিট করলে কারোর মাল না পাঠিয়ে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করার কাজে ব্যস্ত ছিল প্রায় দেড়শ ছেলে-মেয়ে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ঘিরে ফেলে ওই আবাসনের ঘরটি। পুলিশ আসতে দেখে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় তাদের । সেই সময় বেশিরভাগ ওই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা পালিয়ে যায়।
কমবেশি কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয় । অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ে মোট ৩৮ জন। এদের মধ্যে আট জনকে গ্রেফতার করলেও ৩০ জনকে নানা ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক রেখেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘরটি সীল করে দেওয়া হয়েছে ।
ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রতারণা করার সফটওয়্যার , মোবাইল , প্রচুর কম্পিউটার ও অন্যান্য সামগ্রী। পুলিশ খোঁজ নিচ্ছে এই প্রতারণা চক্রের পান্ডা কে ? যে ঘরটিতে এই সমস্ত প্রতারণার ফাঁদ পাতা ছিল তার নীচের তলাতে ছিল স্টেট ব্যাংকের শাখা। কিভাবে একটা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উপরে এইভাবে প্রতারণার চক্র চলছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে।