নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নিউজ ডেস্ক :: রবিবার ২৬,অক্টোবর :: তোরা বোরা পাহাড়ে মার্কিন বাহিনীর হাতে কোণঠাসা হয়েও আল কায়েদা প্রধান বিন লাদেন নারীর বেশ ধারণ করে একটি পিকআপ ট্রাকে চড়ে পাকিস্তানে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন !
৯/১১ হামলার পরবর্তী প্রেক্ষাপটে মার্কিন বাহিনীর হাত থেকে ওসামা বিন লাদেনের পলায়ন নিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেছেন প্রাক্তন সিআইএ কর্তা জন কিরিয়াকু ।

লাদেনের তোরা বোরার আশ্রয়
এক একান্ত সাক্ষাৎকারে কিরিয়াকু (যিনি সিআইএ-তে ১৫ বছর কাজ করেছেন এবং পাকিস্তানে কাউন্টার টেররিজম অপারেশনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন) দাবি করেন, মার্কিন সামরিক বাহিনীর গাফিলতি এবং আল-কায়েদার অনুপ্রবেশের কারণেই এমনটা হয়েছিল।
কিরিয়াকু জানান, ২০০১ সালের অক্টোবরে আফগানিস্তানের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে আল-কায়েদার ঘাঁটিগুলিতে হামলা শুরু করার পর মার্কিন বাহিনী নিশ্চিত ছিল যে, তোরা বোরায় বিন লাদেন সহ আল-কায়েদার শীর্ষ নেতৃত্বকে তারা কোণঠাসা করে ফেলেছে।
কিন্তু এখানেই ঘটে আসল বিশ্বাসঘাতকতা। কিরিয়াকুর তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডারের জন্য কর্মরত এক দোভাষী আসলে আল-কায়েদার এক সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
কিরিয়াকু বলেন, “আমরা জানতাম না যে, সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডারের দোভাষী আসলে আল-কায়েদার একজন অপারেটিভ, যে ছদ্মবেশে মার্কিন সামরিক বাহিনীতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন।”
তিনি আরও জানান, বিন লাদেন দোভাষীর মাধ্যমে জেনারেল ফ্র্যাঙ্কসকে এই বলে অনুরোধ করেন যে, নারী ও শিশুদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের যেন ভোর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়, এরপর তারা আত্মসমর্পণ করবে। দোভাষী সফলভাবে জেনারেল ফ্র্যাঙ্কসকে এই প্রস্তাবে রাজি করান।
আর এই সুযোগে রাতভর আক্রমণের বিরতিকে কাজে লাগিয়ে বিন লাদেন তাঁর পরিকল্পনা কার্যকর করেন। কিরিয়াকু বলেন, “যা ঘটেছিল তা হল, বিন লাদেন নারীর বেশে সজ্জিত হন এবং অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে একটি পিকআপ ট্রাকের পেছনে চড়ে পাকিস্তানে পালিয়ে যান।”
তিনি আরও বলেন, “ভোরে যখন মার্কিন বাহিনী তোরা বোরায় আক্রমণ চালায়, তখন সেখানে আত্মসমর্পণ করার মতো কেউ ছিল না—সবাই পালিয়ে গিয়েছিল। ফলে, আমাদের লড়াইটিকে তখন পাকিস্তান পর্যন্ত সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়।”

