আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: সংবাদ প্রবাহ টিভি ডট কম :: ৪ঠা জানুয়ারি :: কোলকাতা :: বাংলায় নারীদের বিরুদ্ধে হওয়ার অপরাধ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য তরজা তুঙ্গে উঠেছিল। এ রাজ্যে মহিলারা সুরক্ষিত নয় বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। একই সুর শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গলাতেও। কিন্তু জাতীয় মহিলা কমিশনের রিপোর্ট অন্য কথা বলছে। মহিলাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অপরাধ হয়েছে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানায়।
করোনা আবহে একদিকে যেমন আমি জনতা আতঙ্কের শিকার,প্রাণ গেলো নিরীহ মানুষের ঠিক তেমনই করোনায় মার্চ মাসে লকডাউন জারি হওয়ার পরই গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা বেড়ে যায়। জুলাই মাস সর্বাধিক গার্হস্থ্য হিংসার রিপোর্ট আসে। এ সবেরই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে বার্ষিক রিপোর্টে। সারা বছরে পাঁচ হাজারেরও বেশি গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। রিপোর্ট বলছে, সম্মানের সঙ্গে বাঁচার অধিকার কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৭ হাজার ৭০৮টি। এ ধরনের অপরাধের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।
জাতীয় মহিলা কমিশনের তথ্য অনুসারে, প্রায় ২৪ হাজার অপরাধের মধ্যে ১১ হাজার ৮৭২টি অপরাধ ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যোগীরাজ্য লাগোয়া দিল্লি। সেখানে গত বছর মহিলাদের বিরুদ্ধে ঘটা অপরাধের সংখ্যা ২ হাজার ৬৩৫টি। এরপর হরিয়ানা (১,২৬৬), মহারাষ্ট্র (১,১৮৮)। দশম স্থানে থাকা বাংলায় গত বছর মহিলাদের বিরুদ্ধে ৪৫৮টি অপরাধ হয়েছে। মহিলা কমিশনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, মোট অপরাধের এক চতুর্থাংশই গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা।
এই সরকারি পরিসংখ্যান দেখে একটি সম্ভাব্য সমাধানের কথাই মনে হচ্ছে যে মানুষের মধ্যে সচেতনতার খুবই বেশি প্রয়োজন । বেশি গোবলয়ের মধ্যেই প্রায় প্রতিটি সংসারে এই পরুষ প্রাধান্য ও পুরুষকার দেখানোর প্রবণতাকে বাঁধতে গেলে কিন্তু সর্বাগ্রে প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতার । সরকারি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাই পারবে এই সমস্যা থেকে ভারতীয় মহিলাদের উদ্ধার করতে ।