নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কেতুগ্রাম :: নার্সের কব্জি কাটার ঘটনায় গ্রেপ্তার শশুর শাশুড়ি। মূল অভিযুক্ত স্বামী, শরিফুল শেখ ওরফে শের মোহাম্মদ শেখ এখনো অধরা।গতকাল রাত্রে চাকটা বাস স্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। মঙ্গলবার তাদের তোলা হলো পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা আদালতে।
সরকারি চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন রেনু খাতুন। কিছুদিনের মধ্যেই তার নার্স পদে সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু ‘বেকার’ স্বামীর ধারণা হয় চাকরি করতে গেলে স্ত্রী তার ‘হাতছাড়া’ হয়ে যাবে। এজন্য ওই চাকরিতে ঘোরতর আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন স্বামী ও সদস্যরা।
বধূ তা মানতে পারছিলেন না। স্বামীর আপত্তি না মানায় বধূর পরিনতি হল ভয়াবহ। স্ত্রী যাতে আর কোনওদিন চাকরিই না করতে পারেন তার জন্য তার হাত কেটে নেয় স্বামী। নৃশংস এই ঘটনা জখম ওই গৃহবধূ রেণু খাতুনের অবস্থা এখন স্থীতিশিল। তার ডানহাতের কব্জি থেকে বাকি বিছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
অভিযুক্ত স্বামী শের মহম্মদ শেখ ওরফে সরিফুল শেখ ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক ছিল। তাদের সন্ধানে তল্লাশিতে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ গতকাল রাতে কেতুগ্রামের চাকটা থেকে গ্রেফতার করে শ্বশুর শাশুড়িকে।শশুর শাশুড়িকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন চেয়ে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলো।

