সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: ডায়মন্ড হারবার :: নিচু তলার জমি শক্ত করুন জোটের কথা পরে ভাবা যাবে। শুক্রবার বিকেলে ডায়মন্ড হারবারের স্টেশন মোড়ে দলের এরিয়া কমিটির দ্বিতীয় সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশ থেকে কর্মী-সমর্থকদের এমনই বার্তা দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি বলেন, ‘দিল্লিতে কৃষকরা যদি লড়াই আন্দোলন করে দেখাতে পারে, তাহলে এরাজ্যে আমরা কেন পারব না ? এক বছর ধরে দিল্লিকে ঘেরাও করে রেখে যদি অবরুদ্ধ করা হতে পারে, কলকাতাতে কেন নয়।
কৃষকরা যা দাবি করেছিলেন মন্ত্রিসভায় তা প্রত্যাহার করা হবে, তবুও কৃষক আন্দোলন থেমে থাকবে না। কারণ, প্রথমত বিলটা পার্লামেন্টে পাস হতে হবে। আমরা এদের থেকে আগে অনেক কথা শুনেছি, তাই খেয়ে না আঁচালে এদের বিশ্বাস নেই। মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। আর মমতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর রাজ্যে কোন গণতন্ত্র নেই। কোথাও বিরোধীরা লড়তে পারবে ? আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে।
কিন্তু পারবে, একদিন পারবে। বারে বারে ঘুঘু ধান খেয়ে যেতে পারে। কিন্তু ঘুঘুরও একদিন আসবে, সেই মানুষও আবার ঘুরে দাঁড়াবে। আক্রমণ হচ্ছে এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। মিটিং-মিছিল আটকাতে পারে। গ্রেফতারও হতে পারে। শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষক নিয়োগ স্কুল সার্ভিস কমিশনে দুর্নীতি হয়েছে। ৩৪ বছর বামেরা রাজ্য চালিয়েছে কেউ আঙ্গুল তুলে বলতে পারবে না। কারণ, আমাদের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ ছিল না। সিবিআইকেও আসতে হয়নি।
মানুষকে চুপ করিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। ভয় দেখানো হচ্ছে আমাদের। ভোটের পর থেকে এনআরসি শব্দ নিয়ে কেউ আর প্রশ্ন তুলছে না। জ্যোতি বসু থাকলে বাইরে থেকে এসে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের বাপের হিম্মত হত না পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ভয় দেখানো ও চোখ রাঙাতে পারত না। নেহত মমতা ব্যানার্জি। দুইয়ে দুইয়ে চার কোথায় গিয়ে মিলছে ফুসফুস গুজগুজ। সলাপরামর্শ আলোচনা চলছে, ইনিও খুশি উনিও খুশি। কিন্তু মানুষের কোন লাভ হল না।’ এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী, সিপিএম নেতা ফুয়াদ হালিম সহ অন্যান্যরা।