সুদেষ্ণা মন্ডল :: সুন্দরবন :: কাকদ্বীপ :: সংবাদ প্রবাহ :: নিম্নচাপের ভ্রুকুটি বাংলায় বাড়ছে আশঙ্কা।বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় নিম্নচাপের জেরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। যার জেরে মৎস্যজীবীদের জন্য জারি করা হল লাল সতর্কতা।জানা গিয়েছে, আগামী ৮ আগস্ট অর্থাৎ সোমবার থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। 
সেই সঙ্গে হবে বৃষ্টিপাতও। আর সেই কারণেই মৎস্যজীবীদের ৮ থেকে ১১ আগস্ট উপকূলে মাছ ধরতে যাওয়ার উপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ৭ তারিখ রাতের মধ্যেই সমুদ্র উপকূল থেকে তাঁদের ফিরে আসতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলাকালীন সেই এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওই চারদিন জারি থাকবে লাল সতর্কতা।সুন্দরবন এলাকার একটি বড় অংশের মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয় মাছ ধরে। কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, সাগরদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই সুন্দরবন এলাকার মৎস্যজীবীদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। 
কারণ, আবহাওয়া আবারও প্রতিকূল। আবার নিম্নচাপের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর সেই কারণে সোমবার (৮ অগস্ট) থেকে আগামী বৃহস্পতিবার (১১ অগস্ট) পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যাওয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য মৎস দফতর। সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন মৎস্যজীবী সংগঠনগুলিকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে শুরু করেছে মৎস্যজীবী সংগঠনগুলি।
যে মাছ ধরার ট্রলারগুলি ইতিমধ্যেই সমুদ্র রয়েছে, নিকটবর্তী কোনও নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন ও ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে সতর্কতা উপকূল তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মাইকিং এর মাধ্যমে সতর্ক করা হচ্ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নদী বাঁধ মেরামতির কাজ করছে সেচ দপ্তর। দক্ষিণ 24 পরগনা বিভিন্ন উপকূল তীরবর্তী এলাকার পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে জারি করা হয়েছে লাল সর্তকতা। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকিং এর মাধ্যমে বাসিন্দাদের সতর্কীকরণের কাজ চলছে। ব্লক প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত।
