সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: গঙ্গাসাগর :: বুধবার ২,আগস্ট :: নিম্নচাপে ও কোটালের সাঁড়াশি আক্রমণে প্লাবিত সুন্দরবনের তীরবর্তী উপকূল এলাকাগুলি। নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি ও কোটালের জোড়া ফালায় সুন্দরবন উপকূল তীরবর্তী এলাকার বিভিন্ন নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়া শুরু করেছে বহু গ্রাম ।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালি , গঙ্গাসাগর, মৌসুনী দ্বীপে পর্যটকদের মাইকিং এর মাধ্যমে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমুদ্রে নামতে নিষেধাজ্ঞা করা হচ্ছে । এর পাশাপাশি নিম্নচাপের কারণে প্রবল বৃষ্টির জেরে সুন্দরবন উপকূল তীরবর্তী এলাকার বিভিন্ন জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছে।
কুলতলি, গোসাবা, মৌসুনি দ্বীপের বালিয়াড়ি সহ একাধিক জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙে কোথাও বা নদী বাঁধ টপকে উঠে এলাকায় নদীর নোনা জল ঢোকা শুরু করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নদীবাঁধ মেরামতির কাজ ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে জেলা সহ রাজ্যের অন্যতম পুণ্যক্ষেত্র গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির মন্দির সংলগ্ন এলাকা সমুদ্রের নোনা জলে পুরোপুরি প্লাবিত। সাধারণত শ্রাবণ মাসে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় ভিড় জমান ভিন রাজ্যের পর্যটকরা।
গঙ্গাসাগরের ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই সেই সকল পর্যটকদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে । পাশাপাশি উপকূল তীরবর্তী এলাকার নদী ও সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে সাময়িক ভাবে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে।
গত দুদিন ধরে টানা বৃষ্টির জেরে শুধু নদী উপকূলবর্তী এলাকাই নয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক শহরও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে । সোনারপুর ,বারুইপুর, ক্যানিং ,গোসাবা ,ডায়মন্ডহাবারের বিভিন্ন জায়গা জলমগ্ন।
জমা জলের কারণে সপ্তাহের তৃতীয় দিনে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছে সাধারণ মানুষেরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই জমা জল বার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।