সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: গঙ্গাসাগর :: মঙ্গলবার ০৩,অক্টোবর :: মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তাল সাগর থেকে সমুদ্র, আকাশে দুর্যোগের মেঘ, ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলিতে চলছে মাইকিং।
আবারও কি সুন্দরবন এলাকা প্লাবিত হতে চলেছে,ভয়ংকর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে চলেছে এলাকার মানুষ, প্রশ্ন এলাকাবাসীর। প্রচন্ড বৃষ্টি যেন যাই যাই করে যাচ্ছে না, ঘুরে ফিরে আবার আসছে তারফলে আতঙ্কে সুন্দরবন উপকূলীয় তীরবর্তী এলাকার মানুষজন।
নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে দুর্যোগ অব্যাহত। রাতভর এক নাগাড়ে বৃষ্টি হয়েছে সমগ্র জেলাজুড়ে। এর মধ্যে সুন্দরবন উপকূলে বৃষ্টির পরিমাণ বেশী। আজ সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমান খানিকটা কম থাকলেও নদী ও সমুদ্র উপকূলে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। মেঘাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে আকাশ। আজও সমুদ্র উত্তাল থাকায় নদী ও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের।
অন্যদিকে দুর্যোগ মোকাবিলায় নবান্ন থেকে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, মহকুমা শাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়, তাতে নির্দেশ দেওয়া হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে তৈরী থাকতে। ইতিমধ্যে সুন্দরবনে সব ব্লকে মাইকিং করে সতর্কতামূলক প্রচার শুরু হয়েছে। জেলার প্রতিটি ব্লক অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে আগামী কয়েকদিনের জন্য। সুন্দরবন উপকূলের কাঁচাবাড়ির বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচার চালান হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন তীরবর্তী এলাকা গুলিতে ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির সংলগ্ন ৫০০ মিটার মাটির নদীবাঁধে ভাঙ্গন। সমুদ্র উত্তল থাকার কারণে পর্যটকদের সমুদ্র নামার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্লক প্রশাসন।
এছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিং এর মাধ্যমে পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের সতর্ক করা হচ্ছে। রাতে আরো জল বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এদিকে ব্লকে পর্যাপ্ত ত্রাণও মজুত রাখা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সুন্দরবনের দুর্বল নদী বাঁধগুলির ওপর নজরদারি চালাচ্ছে সেচ দফতর। বড় কোন বিপর্যয় হলে দ্রুত জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।