নীল সুড়ঙ দিয়ে ছুটছে মাছ, জলের স্রোতের শব্দে বুক দুরু দুরু – ছুটছে মেট্রো -প্রথম পর্ব

সুদেষ্ণা মন্ডল  :: সংবাদ প্রবাহ  :: ব্যুরো নিউজ   ;; বুধবার ১৭,জানুয়ারী ::   মাথার উপরে গঙ্গা। আর নিচ দিয়ে মেট্রোয় চড়ে গঙ্গা পেরোচ্ছেন আপনি। এই অপেক্ষা আর বেশি দিনের নয়। কিছুদিনের। তবে গঙ্গার নিচ দিয়ে মেট্রো চড়ার অনুভূতি হতে চলেছে একেবারেই ভিন্ন। ভাবছেন মেট্রোয় চড়ার সময় বাইরে জল দেখা যাবে কি না! দেখা না গেলেও অনুভূতিটা অনেকটা সেরকমই হবে। গঙ্গার নিচ দিয়ে মেট্রো চড়ে যাওয়ার সময় আপনার পাশে খেলে বেড়াবে মাছ। মেট্রোর ভিতর বসে মনে হবে বাইরে বইছে স্রোত। ভিতরে হবে নদীর জলরাশির শব্দ। যেতে যেতে মনে হবে, গঙ্গা চিরে মেট্রোয় চড়ে একপার থেকে অন‌্যপারে যাচ্ছেন আপনি।

হাওড়া স্টেশন থেকে মহাকরণ স্টেশনে ঢোকার মাঝে গঙ্গার নিচের ৫২০ মিটার অংশ যাতায়াতের সময় এই ভিন্ন অনুভূতি মিলবে। যা পেরোতে সময় লাগবে ৪৫ সেকেন্ড। যাত্রীরা হুঁশ করে পেরিয়ে যাবেন গঙ্গা। ঘন নীল আলোয় সজ্জিত হবে সুড়ঙ্গ। ট্রেন যাওয়ার সময় মনে হবে জলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। অদ্ভুত বাদ‌্যযন্ত্রের শব্দ হবে। একেবারে রাজকীয় অনুভূতি। সুড়ঙ্গের অন্যান্য অংশে সাদা আলো থাকলেও পশ্চিম দিকের হাওড়ার ডিআরএম ভবন সংলগ্ন অংশ থেকে পূর্ব দিকের স্ট্র্যান্ড রোড পর্যন্ত অংশের জোড়া সুড়ঙ্গে ওই নীল রঙের আলো বসেছে। থাকছে সাদা আলোও।
পৃথিবীর বহু দেশে সমুদ্রের জলের গভীরের দুনিয়া দেখাতে স্বচ্ছ কাচের সুড়ঙ্গ রয়েছে। সেখানে এক বার ঢুকে পড়লে চার পাশ বিরাট অ্যাকোয়ারিয়ামের মতো মনে হয়। টিকিট কেটে অনেকেই সে সব দেখতে যান। এখানেও তেমনটাই হতে চলেছে।
ইতিমধ্যেই জলস্তরের থেকে ৩৩ মিটার নিচে তৈরি হয়েছে দুই সুড়ঙ্গ। আগামীকাল শেষ পর্ব 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + eighteen =