মালদ্বীপের বিরুদ্ধে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচ থেকেই ফর্মে ফিরেছিল ভারতীয় ফুটবল দল । আর শনিবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ৩-০ গোলে নেপালকে হারাল ইগর স্টিম্যাচের দল। ভারতের হয়ে গোলদাতা সুনীল ছেত্রী, সুরেশ এবং সাহাল আবদুল। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ মানেই ভারতের আধিপত্য। যেখানে ভারত বরাবর ‘দাদাগিরি’ দেখিয়ে এসেছে। নাহলে ১৩ বার সাফ ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়েছে। তারমধ্যে ১২ বার ফাইনালে খেলল ভারত।
একমাত্র ২০০৩ সালে ভারত ফাইনালে উঠতে পারেনি। হয়েছিল তৃতীয়। আর এদিনের জয়ের পর অষ্টম সাফ কাপটিও ঢুকে গেল ভারতের ট্রফি ক্যাবিনেটে। ২০১৯ থেকে ভারতীয় দলের দায়িত্বে আছেন ইগর স্টিমাচ। কিন্তু শনিবারের আগে পর্যন্ত ভারতকে কোনও ট্রফি জেতাতে পারেননি। তবে এদিন সুনীলদের জয়ের পরই জিরি পেসেক, স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের পরে তৃতীয় বিদেশি কোচ হিসেবে ভারতকে সাফ ট্রফি এনে দিলেন।
এবারে সাফ কাপের শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি ভারতের। প্রথম ম্যাচে দশ জনের বাংলাদেশের কাছে আটকে গিয়েছিল ভারত। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও পয়েন্ট নষ্ট করেন সুনীলরা। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে টিকে থাকতে হলে নেপালের বিরুদ্ধে ম্যাচটা জিততেই হতো ভারতকে। ওই ম্যাচে সুনীলের একমাত্র গোলে জয় পায় টিম ইন্ডিয়া।
এরপর মালদ্বীপের বিরুদ্ধে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে ৩-১ ব্যবধানে জয়ই যেন ভারতকে পুরনো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেয়। আর প্রমাণ পাওয়া গেল এদিনও। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকেন সুনীল ছেত্রীরা। কিন্তু আক্রমণে ঝড় তুললেও গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ হন। শেষপর্যন্ত গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই খোলস ছেড়ে বেরোন টিম ইন্ডিয়ার ফুটবলাররা। ৪৯ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সুনীল ছেত্রী। পরবর্তী মিনিটেই গোল করে এগিয়ে দেন সুরেশ। এরপরও ভারতীয় দল আক্রমণের ঝাঁঝ বজায় রেখেছিল। উলটোদিকে নেপাল গোলশোধের মরিয়া চেষ্টা করলেও তাতে সফল হয়নি। উলটে ৯০ মিনিটে নেপালের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন সাহাল আবদুল। ফলে ৩-০ ব্যবধানে নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতল ভারত।