নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: বুধবার ৫,জুলাই :: দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট। আগামী ৮ জুলাই গোটা রাজ্যে একদফাতেই ভোট হবে। ইতিমধ্যেই এই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিদিনই অশান্তির খবর সামনে আসছে। তবে পঞ্চায়েত ভোটে কারা প্রার্থী হতে পারবেন আর কারা পারবেন না সেই ধন্দ এখনও রয়েছে। আর সেই বিভ্রান্তি মেটাতে ফের ৮ দফা নির্দেশিকা দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই নির্দেশ জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিকদের কাছেও পৌঁছেছে। তা প্রয়োজনমতো সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় পাঠানো হয়েছে।
কারা প্রার্থী হওয়ার যোগ্য নন
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, ১০০ দিনের গ্রামীণ প্রকল্পের অধীনে থাকা প্রোগ্রাম অ্যাসিস্ট্যান্ট, কম্পিউটার অ্যাসিস্ট্যান্ট, টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টরা প্রার্থী হতে পারবেন না পঞ্চায়েত ভোটে। পাশাপাশি মিড ডে মিল প্রকল্পের অধীনে যারা ডাটা এন্ট্রি অপারেটর তাঁরাও হতে পারবেন না প্রার্থী। এগুলি ছাড়াও লাইব্রেরিয়ান এবং কল্যাণী স্পিনিং মিলের যাঁরা প্রাক্তন কর্মী, তাঁরাও প্রার্থী হতে পারবেন না এই নির্বাচনে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না যাঁরা শ্রম দফতরের অধীনে চুক্তিভিত্তিক অ্যাটেন্ডেড হিসাবে কাজ করেন তাঁরাও।
সিভিক ভলান্টিয়াররাও কী প্রার্থী হতে পারবেন
রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়াররা (Civic Volunteers) কোনওভাবেই পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হতে পারবে না। কারণ তাঁরা রাজ্য সরকারের স্থায়ী কর্মচারী নন। সরকার চুক্তিভিত্তিতে তাঁদের নিয়োগ করেছে। সেই নিয়োগের কিছু শর্ত রয়েছে। সেই শর্তের কারণেই তাঁরা পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হতে পারবেন না।
কারা প্রার্থী হবেন
অপরদিকে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অধীনে থাকা প্রকল্প সহায়করা হতে পারবেন প্রার্থী। শিক্ষকদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থী হতে কোনও বাধা বাধা নেই। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষক, হাই-স্কুল শিক্ষক, প্যারা টিচাররা পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে পারেন। অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, লেকচারার, গেস্ট লেকচাররাও পঞ্চায়েতে প্রার্থী হওয়ার জন্য যোগ্য। এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই হওয়ার পর থেকেই প্রার্থী কারা হবেন এ নিয়ে অসম্পষ্টতা দেখা দিয়েছিল। কারণ এমন অনেকেই মনোনয়ন জমা দিচ্ছিলেন যারা পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।